বিএনপিকে দাঁতভাঙা জবাবের হুঁশিয়ারি পরশের

বিএনপিকে দাঁতভাঙা জবাবের হুঁশিয়ারি পরশের

রয়েল ভিউ ডেস্ক:
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, বিএনপির নেতৃবৃন্দদের বলতে চাই জনগণকে ভিকটিম বানানোর স্পর্ধা দেখাবেন না। জনগণের অধিকার, জানমালের নিরাপত্তায় ব্যাঘাত ঘটলে রাজপথে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফার্মগেট যুবলীগ চত্ত্বরের শান্তি সমাবেশে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপি যে সন্ত্রাসী সংগঠন এর ভুরি ভুরি প্রমাণ আছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার নাম এসেছিল মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায়। আন্তর্জাতিক মানি লন্ডারিং মামলাতেও তিনি দুর্নীতির বরপুত্র এবং সারা বিশ্বে কুখ্যাত। এছাড়া ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা ও দুর্নীতির কারণে দেশ-বিদেশে তার ব্যাপক সুনাম আছে। এই কুখ্যাত সন্ত্রাসী এবং দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন রাজনৈতিক দল এখন আমাদেরকে সন্ত্রাসী হিসাবে উপস্থাপন করার রাজনৈতিক কৌশল হাতে নিয়েছে।

স্বাধীনতার পর এই প্রথম দেশের মেহনতী মানুষ মৌলিক অধিকার উপভোগ করছে জানিয়ে পরশ বলেন, অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান-স্বাস্থ্য-শিক্ষা নিশ্চিত হয়েছে। প্রথম খাদ্যে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। বিএনপির বাংলাদেশের এই কৃতিত্ব পছন্দ হচ্ছে না। প্রায় ২ লাখ গৃহহীনকে বসবাসের ঘর দেওয়া হয়েছে, যা কোনো উন্নত রাষ্ট্রও দিতে পারে না। বস্তিবাসীদের বহুতল ফ্ল্যাটে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। করোনা মোকাবিলায় পৃথিবীর প্রথম ১০-১২টি দেশের মধ্যে আছে বাংলাদেশের নাম। বিনামূল্যে ৩০ কোটি টিকা দেওয়া হয়েছে। সারা দেশে প্রায় ১৫ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক হয়েছে। শিক্ষায় বাংলাদেশের অভূতপূর্ব সাফল্য, বিশেষ করে সাক্ষরতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ গোটা পৃথিবীতে এক অবাক নিদর্শন।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নেতা কর্মীরা আপনাদের মতো আদর্শহীন রাজনীতি করে না। আমাদের নেতাকর্মীরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করে। আপনাদের মতো পাকিস্তানের তাবেদারি রাজনীতি আমরা করি না। তাই আপনারা বলতে পারেন, ‘এই বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তান ভাল ছিল’। আপনাদের লজ্জা নেই। তাই আপনারা এমন কথা বলতে পারেন। পুলিশ বাহিনীর ওপর যদি চড়াও হন, তাহলে কিন্তু জনগণ সেটা মেনে নেবে না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বিএনপি এটি নিকৃষ্ট সংগঠন। বিএনপি একটি মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী সংগঠন। জনবিচ্ছিন্ন এই সংগঠনটি জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চায়।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা খুনি জিয়াউর রহমান এদেশের ছাত্র সমাজকে ধ্বংস করার জন্য তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের হাতে টাকা আর অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন। এটাই হচ্ছে বিএনপির আসল চেহারা। তাই বলতে চাই, আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত যদি কোথাও জনগণের জানমালের ক্ষতি করার চেষ্টা করে, অগ্নি-সন্ত্রাস করে তাহলে তারদেরকে রাজপথে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।

ঢাকা মহানগর আওয়ামী যুবলীগ উত্তর আয়োজিত শান্তি সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মামুনুর রশিদ, ডা. খালেদ শওকত আলী, মোঃ রফিকুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান পবন, মো. নবী নেওয়াজ, এ কে এম আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক এমপি, ব্যারিষ্টার সেলিম আলতাফ জর্জ এমপি, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, মোঃ আনোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিন, মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ, আবু মুনির মোঃ শহিদুল হক রাসেল, মশিউর রহমান চপল, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ শামছুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সেকত, উপ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ মিসির আলি, উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সামসুল ইসলাম পাটোয়ারী, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ গোলাম কিবরিয়া শামীম, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর এর সহ-সভাপতি মো. জলিলুর রহমান, মজিবর রহমান বাবুল, আকতারুজ্জামান আকতার, সাব্বির আলম লিটু, যুগ্ম সম্পাদক তাজবিরুল হক অনু, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর রহমান, সিবলী সাদিক, শাহাদাত হোসেন সেলিম, দপ্তর সম্পাদক এ এইচ এম কামরুজ্জামান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ আমির, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপ-শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক তারেক হোসেন বাদল, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক জালাল উদ্দিন, সহ-সম্পাদক মিজানুর রহমান মুকুল, সদস্য রফিকুল ইসলাম স্বপন, এম এইচ খান মিরন, এনামুল হক, খোকন মাহমুদ, শেখ আল আমিনসহ বিভিন্ন থানার আহবায়ক ও যুগ্ম আহবায়ক এবং ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকবৃন্দ।