‘বক্তৃতা ২০ মিনিটের বেশি নয়, মোবাইলে কথা সর্বোচ্চ ৩০ সেকেন্ড’

‘বক্তৃতা ২০ মিনিটের বেশি নয়, মোবাইলে কথা সর্বোচ্চ ৩০ সেকেন্ড’

রয়েল ভিউ ডেস্ক :
মোবাইল ফোনে যত কম কথা বলা যায় ততই ভালো বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য এবং নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত।

এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ, অনুষ্ঠানে ২০ মিনিটের বেশি বক্তৃতা করা ভালো নয়। মোবাইলে ৩০ সেকেন্ডের বেশি কথা বলাও ঠিক নয়।

শনিবার বিশ্ব কণ্ঠ দিবস উপলক্ষে বিএসএমএমইউয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি গলা ভালো রাখতে নানা পরামর্শও দেন।

প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, রাতে ঘুমানোর আড়াই ঘণ্টা আগে খেতে হবে। সকালে ও রাতে গরম পানি খেলে গলা ভালো থাকে। ৪০ বছর বয়সের কোনো ব্যক্তির যদি ১৫ দিনের বেশি গলা ভেঙে থাকে, তাকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

এসময় প্রাণ গোপাল দত্ত আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, সাগর রুনির হত্যাকাণ্ডের সময় যদি অপরাধীর কণ্ঠ রেকর্ড করা থাকতো তবে তদন্তকারীর কাজ ৮০ শতাংশ সহজ হয়ে যেত। একটি শিশুর কণ্ঠস্বর কখনো প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির মতো নয়। একজন তরুণ ও একজন তরুণীর কণ্ঠস্বর এক রকম নয়। অর্থাৎ কারো কণ্ঠস্বর কারো মতো হয় না।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, খালি পেটে গরম পানি খেলে গলা পরিষ্কার হলেও চোখের গ্লুকোমা হতে পারে। কিছু খেয়ে গরম পানি খাওয়া উচিত। আমরা ঠান্ডা পানি, অ্যালকোহল খাবো না। মানুষ যেন ঠিকমত কণ্ঠের ব্যবহারে আরও যত্নশীল হয়।

বিএসএমএমইউর উপাচার্য বলেন, একটানা ২০ মিনিটের বেশি কথা বলা উচিত নয়। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকদের একটানা বেশি জোরে কথা না বলে আস্তে আস্তে কথা বলা উচিত। কণ্ঠের যেকোনো ধরনের সমস্যার সুচিকিৎসা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে। কণ্ঠের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে যত ধরনের যন্ত্রপাতির প্রয়োজন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন তার ব্যবস্থা নেবে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, নাক কান গলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আজাহারুল ইসলাম, কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রকল্পের পরিচালক ও সিন্ডিকেট মেম্বার অধ্যাপক ডা. এইচএম জহুরুল হক সাচ্চু, অধ্যাপক ডা. বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকী, অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান তরফদার, আবৃত্তিশিল্পী অধ্যাপক ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।