বঙ্গমাতার জন্মদিন উপলক্ষে মহানগর আ’লীগের দোয়া মাহফিল ও শিরনী বিতরণ

বঙ্গবন্ধুর সকল দুর্যোগে সাহসী ভূমিকা পালন করতেন বঙ্গমাতা : বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ 

বঙ্গবন্ধুর সকল দুর্যোগে সাহসী ভূমিকা পালন করতেন বঙ্গমাতা : বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ 

রয়েল ভিউ ডেস্ক:
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেছেন, আজ সোমবার মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী। তিনি বলেন, ইতিহাস থেকে জানা যায় বঙ্গবন্ধুর সকল আন্দোলন সংগ্রামে পাশে থেকে তিনি সহযোগিতা করেছেন। জাতির পিতার সকল দুর্যোগে সাহসী ভূমিকা পালন করতেন। ছোট বেলা থেকেই বঙ্গমাতার এই অভ্যাস গড়ে উঠেছিলো। বঙ্গবন্ধুর সাথে মাত্র পাঁচ বছর বয়সে বঙ্গমাতার বিয়ে হয়। বঙ্গবন্ধু যখন কলকাতা যেতেন তখন তিনি টাকা-পয়সা জমিয়ে উনার হাতে তুলে দিতেন। এভাবেই করেই বঙ্গবন্ধুর সকল কাজে তিনি পাশে থাকতেন। অর্থাৎ তিনি হলেন বঙ্গবন্ধুর  সকল লড়াই-সংগ্রাম-আন্দোলনের নেপথ্যের প্রেরণাদায়ী এবং সকল ত্যাগ ও অর্জনের নিত্যসঙ্গী। মাতৃস্নেহের পারিবারিক আদর্শকে ধারণ করেই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। জননেত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণে সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। যা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। তবে বঙ্গমাতার নেতৃত্বের অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিষয়ে সর্তক থেকে দলকে সুসংগঠিত করে এগিয়ে যেতে হবে।

সোমবার (৮ই আগষ্ট) বাদ যোহর হযরত শাহজালাল (রহঃ) দরগাহ মসজিদের নিচ তলায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর  ৯৩তম জন্মবার্ষিকীতে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং  শিরনী বিতরণে তিনি এসব কথা বলেন। 

দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন। পরিচালনার পাশাপাশি তিনি বলেন, আজ বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণা ও সাহসী নারী নেতৃত্ব বঙ্গমাতার জন্মদিন। তিনি ১৯৩০ সালে টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম গ্রহণ করেন। জাতির জনকের সহধর্মিণী হিসাবে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পাকিস্তান আমলে প্রায় ২৪ বছরের মধ্যে বেশির ভাগ বঙ্গবন্ধু কারাগারে ছিলেন। সেই সময় তিনি পরিবার ও আওয়ামী লীগকে সামলে নিয়েছিলেন। বিশেষ করে ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ভাষণ যা ছিল বাঙালির মুক্তির সনদ। অনেকে অনেক কথা বললেও আমরা জানি,বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পূর্বে বঙ্গমাতা বলেছিলেন তোমার  মনে যা আসবে তাই তুমি বলবে। জাতির পিতা ভাষণে তাই করেছিলেন । তিনি যা বলেছিলেন তা মুক্তির সনদ হিসেবে ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে। এই মহীয়সী নারী পরিবারকে লালন-পালন করেছিলেন। প্রত্যেকটি সন্তানকে সুশিক্ষিত ও উচ্চশিক্ষিত করেছিলেন।  কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা, বঙ্গমাতা সহ পরিবারের সকল সদস্যদেরকে হত্যা করা হয়। ইতিহাস থেকে জানা যায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরেও নরপিশাচদের  কাছে তিনি প্রাণ ভিক্ষা চাননি। এটাই হলো সাহসী নারী নেতৃত্বের আত্মত্যাগ। জাতি চিরদিন উনার অবদানকে স্মরণ রাখবে। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার গুনে গুণান্বিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। 

দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন মওলানা জসিম উদ্দিন। দোয়া মাহফিলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সহ পরিবারের সকল নিহত সদস্যের রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা'র দীর্ঘায়ু , মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জি.এম.জেড কয়েছ গাজীর সুস্থতা কামনা সহ দেশ ও জাতি এবং বিশ্বের শান্তি কামনা করা হয়। 

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম পুতুল, মোঃ সানাওর,  যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিধান কুমার সাহা, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজমুল ইসলাম এহিয়া, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মোহাম্মদ হোসেন রবিন,সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ শামীম আহমদ, সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ। 

মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল আহাদ চৌধুরী মিরন, আব্দুল আজিম জুনেল, মুক্তার খান,  রাহাত তরফদার, সাব্বির খান, জামাল আহমদ চৌধুরী, খলিল আহমদ, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান সুহেদ, জুমাদিন আহমেদ, উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য আব্দুল মালিক সুজন, এনাম উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সত্যেন্দ্র দাস তালুকদার খোকা বাবু, কানাই দত্ত। 

ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্যবৃন্দ জুনেদ আহমদ শওকত , হায়দার মোঃ ফারুক, আক্তার হোসেন, দেলোওয়ার হোসেন রাজা, ইসমাইল মাহমুদ সুজন,জায়েদ আহমেদ খাঁন সায়েক, নজরুল ইসলাম নজু, শেখ সুরুজ আলম, মানিক মিয়া, মাহবুব খান মাসুম, মঈনুল ইসলাম মঈন, ফজলে রাব্বি মাসুম, শেখ সোহেল আহমদ কবির, জাবেদ আহমদ, মোঃ ছয়েফ খাঁন, সাজোয়ান আহমদ প্রমুখ ।