বুদ্ধিজীবী দিবসে মহানগর আ'লীগের শ্রদ্ধা  নিবেদন ও কবর জিয়ারত

বুদ্ধিজীবী দিবসে মহানগর আ'লীগের শ্রদ্ধা  নিবেদন ও কবর জিয়ারত

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সকল দেশপ্রেমিক মানুষের সাথে একাত্ম হয়ে বরাবরের মতো এবারও যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর পরিবেশে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং শহীদদের কবর জিয়ারত করেছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টায় চৌহাট্টাস্থ শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতির সূর্য সন্তানদের স্মরণ করে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং কবর জিয়ারত করা হয়।

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন এর নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন ও কবর জিয়ারতকালে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, বিজিত চৌধুরী, এডভোকেট  প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য্য, মোঃ সানাওর, সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ আরমান আহমদ শিপলু, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজমুল ইসলাম এহিয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জুবের খান , যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সেলিম আহমদ সেলিম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, উপ-দপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি,সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ।

মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য আজম খান মোঃ আব্দুল আজিম জুনেল, এমরুল হাসান,  সৈয়দ কামাল, সাইফুল আলম স্বপন, তাহমিন আহমেদ, রোকসানা পারভীন, জামাল আহমদ চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান সুহেদ, জুমাদিন আহমেদ, সম্মানিত জাতীয় পরিষদ সদস্য এডভোকেট রাজ উদ্দিন, উপদেষ্টা আব্দুল মালিক সুজন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সত্যেন্দ্র দাস তালুকদার খোকা বাবু, কানাই দত্ত।

ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ আব্দুর রব হাজারি, মুহিবুর রহমান ছাবু, সালউদ্দিন বক্স সালাই, দিলোয়ার হোসেন রাজা, ইসমাইল মাহমুদ সুজন, ফয়সল আক্তার ছোবহানী, আনসার আহমদ কয়েছ, মোঃ ছয়েফ খাঁন, তাজ উদ্দিন লিটন,  নজরুল ইসলাম নজু, মোঃ বদরুল ইসলাম বদরু,  এডভোকেট বিজয় কুমার দেব বুলু, মইনুল ইসলাম মঈন, শেখ সোহেল আহমদ কবির, জাবেদ আহমদ,  গোলজার আহমদ জগলু।

উল্লেখ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ইতিহাসের একটি কালো অধ্যায়। ১৯৭১ সালের এই দিনে দখলদার পাকহানাদার বাহিনী ও তার দোসর, রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস সম্মিলিতভাবে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। এই দিনে দেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিল্পী, লেখক ও সাংবাদিকসহ অন্যান্য মেধাবী বাঙালিকে বাড়ি থেকে চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে ধরে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে নির্যাতন ও হত্যা করা হয়।  পরে তাদের মরদেহ রাজধানীর রায়েরবাজার, মিরপুরসহ বিভিন্ন বধ্যভূমিতে ফেলে দেয়া হয়। বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ঠিক দুই দিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানী বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।