বন্যা উপদ্রুত এলাকায় নৌকারোহী ডাকাতদলের হানা ॥ আতংক

বন্যা উপদ্রুত এলাকায় নৌকারোহী  ডাকাতদলের হানা ॥ আতংক

স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা উপদ্রুত এলাকায় ডাকাত আতংক বিরাজ করছে। বিদ্যুৎ না থাকার সুযোগে বাসা-বড়িতে হানা দিচ্ছে নৌকারোহী ডাকাতরা।  ডাকাতদের প্রতিরোধে অনেক স্থানে মাইকিং করা হচ্ছে। ডাকাত আতংকে অনেক লোক নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। 

সিলেট নগরীর কানিশাইল, লেকসিটি, তপোবন ও বাগবাড়ির বর্ণমালা স্কুল এলাকায় গত রাত ডাকাতরা হানা দেয়। এ নিয়ে স্থানীয় মসজিদে মাইকিং করা হয়। কানিশাইল এলাকায় ইঞ্জিন নৌকা নিয়ে হানা দিলে স্থানীয় লোকজন শোর গোল শুরু করলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। তপোবন এলাকার বাসিন্দা বিষয়টি সংবাদপত্র অফিসে জানান। পরে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগে পুলিশ ওই এলাকা পরিদর্শনে যায়। 

নগরীর আখালিয়া এলাকার বাসিন্দা, নগরীর পিডিবি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদরুল ইসলাম শনিবার রাত ১টায় জানান, তাদের এলাকার মসজিদে ডাকাত হানা দেয়ার মাইকিং করা হচ্ছে। তাদের পাশের বাসায়ও ডাকাত হানা দেয়। এ অবস্থায় তারা আতংকিত বলে জানান তিনি। তাদের মতো অনেকে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন বলে জানান তিনি। তাছাড়া পশ্চিম পীরমহল্লা এলাকায় ডাকাত আতঙ্কে মাইকিং করা হয়। 

নগরীর তপোবন এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক মিসবাহ উদ্দিন জানান, এসএমপির এয়ারপোর্ট থানাধীন এলাকাতে ডাকাত পড়ার মাইকিং করা হচ্ছে। মাইকিংয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে। 

মেজরটিলার আটালো, দেবপুর ও ভাটপাড়া এলাকায়ও শনিবার রাত ১টার দিকে ডাকাতদল হানা দেয়। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা আতংকিত।  
সুনামগঞ্জ থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে, শহরে বিদ্যুৎ না থাকায় ডাকাতরা নৌকাযোগে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে হানা দিচ্ছে। ডাকাতরা হাছন নগর ময়না পয়েন্টে নিসর্গ ১৪/১ বাসায় ডাকাত হানা দিলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।এছাড়া, বাধনপাড়া, হাজীপাড়া, কাজির পয়েন্ট এলাকায় বাসাবাড়ির বাসিন্দারা ডাকাত আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।