সাধ্য অনুযায়ী সবাইকে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে হবে : দানবীর ড. রাগীব আলী

বন্যার্ত ২ হাজার পরিবারে সাত দিনের  খাবার দিল রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন 

বন্যার্ত ২ হাজার পরিবারে সাত দিনের  খাবার দিল রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন 

সাধ্য অনুযায়ী সবাইকে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে হবে : দানবীর ড. রাগীব আলী 
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বন্যার্ত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালেন সমাজসেবামূলক অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান দানবীর ড. রাগীব আলী। গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেটের দক্ষিণ সুরমা ও বিশ্বনাথের বন্যাকবলিত ২ হাজার পরিবারের মধ্যে সাত দিনের খাবার নিয়ে ছুটে যান দানবীর ড. রাগীব আলী। 

তাঁর প্রতিষ্ঠিত মানব সেবায় নিবেদিত প্রতিষ্ঠান রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন এই ত্রাণ বিতরণের উদ্যোগ নেয়। বিশ্বনাথের রাগীব নগর রাগীব-রাবেয়া বাংলাদেশ স্পোর্টস একাডেমির ডরমেটরী প্রাঙ্গনে সকাল থেকে ত্রাণ প্রত্যাশী মানুষ ভিড় জমান। রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান দানবীর ড. রাগীব আলী অসহায় নিঃস্ব মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা শুনেন এবং তাদের হাতে পুরো এক সপ্তাহের খাবার তুলে দেন। 

ত্রাণ বিতরণী অনুষ্ঠানে সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, সিলেটের প্রথম বেসরকারি মেডিকেল কলেজ জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা দানবীর ড. রাগীব আলী বলেন, মানুষের দুঃখ বা দুর্দিন সবসময় থাকেনা। কিন্তু দুর্দিনে যে তার পাশে দাঁড়ায় এই অবদান মানুষ সবসময় মনে রাখে। সাধ্য অনুযায়ী যা কিছু আছে তাই দিয়ে এখন বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। 

তিনি বলেন, রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন দেশ, সমাজ ও মানুষের কল্যাণেই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। জন্মলগ্ন থেকে সারা দেশে এমনকি দেশের বাইরেও কাজ করছে রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন। সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে সব সময় থাকবে কল্যাণমূলক এই প্রতিষ্ঠান। পর্যায়ক্রমে বিশ্বনাথ, দিরাই এবং সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার বন্যাকবলিত অসহায় দুর্গতদের মধ্যে এই ত্রাণ বিতরণের কার্যক্রম চলমান থাকবে। গতকাল বৃহস্পতিবার যেসব গ্রামে ত্রাণ বিতরণ করা হয় সেগুলো হল, রাগীব নগর, তালিবপুর, নভাগ, ছোট দীঘলী, রাউতের গাঁও, মীরের গাঁও, কুড়ির গাঁও, লাল টেক, পেশাকরের গাঁও, ধরের গাঁও ও পেচী খুরমা।  

ত্রাণ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের ট্রেজারার সৈয়দ আব্দুল হাই, জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মো. আবেদ হোসেন, লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মিসেস সাদিকা জান্নাত চৌধুরী, রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের সচিব মেজর (অব) শায়েখুল হক চৌধুরী, সৈয়দ আজমাইন হাই, লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য দেওয়ান সাকিব আহমদ, লিডিং ইউনিভার্সিটির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মো. মাইমুল আহসান খান, লিডিং ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মোস্তাক আহমদ দীন, ল বিভাগের প্রভাষক রেজাউল করিম, ডেপুটি রেজিস্ট্রার ইঞ্জিনিয়ার লুৎফুর রহমান ও কাওছার হাওলাদার, ফাইন্যান্স এন্ড একাউন্টস বিভাগের ইনচার্জ রজত কান্তি চক্রবর্তী, কামাল বাজার যুব ফোরামের জালাল আহমদ, রাগীব-রাবেয়া বাংলাদেশ স্পোর্টস একাডেমির ডাইরেক্টর জমিরুল হক তালুকদার, লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের গবেষণা কর্মকতা জসীম আল ফাহিম প্রমুখ।