যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকবেন : বিভাগীয় কমিশনার

যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকবেন : বিভাগীয় কমিশনার

স্টাফ রিপোর্টার

সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর পূর্বপুরুষরা ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে বাগদাদ থেকে এদেশে এসেছিলেন। তিনি পীর-আউলিয়াদের পরিবারে জন্মেছিলেন বলেই আজীবন নিজেকে ইসলামের খেদমতে নিয়োজিত রেখেছিলেন। আল্লাহর উপর তাঁর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস ছিলো বলেই আল্লাহ তাঁকে পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে বিজয়ী করে আমাদেরকে স্বাধীন ভূখন্ড দান করেছিলেন। এই কারণে যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকবেন। 

সোমবার সিলেটের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে খতমে কুরআন, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের উপ-পরিচালক মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেটের সহকারী পরিচালক মীর মো. নেয়ামত উল্লাহ। 

ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির ধর্মীয় প্রশিক্ষক জুবায়ের আহমদ আজহারীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির সহকারী পরিচালক এটিএম গোলাম সরোয়ার। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে ইসলামের প্রচার-প্রসারে অসামান্য অবদান রাখেন। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা, বিশ্ব ইজতেমার মাঠ প্রদান, হাজীদের জন্য বিশেষ জাহাজ প্রদানসহ অসংখ্য কাজ করে গেছেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, পূর্বপুরুষদের দ্বীনি খেদমতের বদৌলতে আল্লাহ বঙ্গবন্ধুর হাতেই এদেশের স্বাধীনতা দান করেছিলেন। তিনি মৃত্যুর মাত্র কিছু দিন আগে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পিতার অনুসরণ করে তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সাথে ৫৬০টি মডেল মসজিদ স্থাপন করে যে ইতিহাস স্থাপন করেছেন, পৃথিবীর কোনো শাসক এমন নজির সৃষ্টি করতে পারেননি।

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সুফি ও উচ্চবংশীয় ঐতিহ্যের ধারক হিসেবে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও মানবিক চেতনা লালন করতেন। তিনি আলেম-ওলামা ও পীর-মাশায়েখদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেন। মাওলানা শামসুল হক ফরিদপুরী, মাওলানা আতাহার আলী, মওলানা আবুল হামিদ খান ভাসানী, মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ ও মাওলানা অলিউর রহমানের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিলো।