বিশ্বম্ভরপুরে চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

বিশ্বম্ভরপুরে চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

বিশ্বম্ভরপুর (সুনামগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষকরা সময়মতো বীজ বপন, চারা রোপণসহ আমন ফসলের পরিচর্যা করছেন। সরকারিভাবে উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে পর্যাপ্ত আমন ধানের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। উপজেলায় বীজ ও সারের কোন সংকট ছিল না। এ বছর বর্ষার শুরুতে ভয়াবহ বন্যার ফলে জমিতে পর্যাপ্ত পলি পড়েছে। বর্তমান আবহাওয়া ফসল উৎপাদন উপযোগী। এছাড়া, চাহিদা মোতাবেক বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে উপজেলায় আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকরা আনন্দিত। গত বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাদি উর রহিম জাদিদ ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নয়ন মিয়া উপজেলার আমন ফসল এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি স্বপন  কুমার বর্মণ ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ সঙ্গে ছিলেন।    

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাদি উর রহিম জাদিদ বলেন, সরকারিভাবে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে কৃষিবান্ধব সরকার পর্যাপ্ত সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এ বছর আমরা কৃষকদের মধ্যে বীজ ও সার সময়মতো বিতরণ করেছি এবং কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করে যাচ্ছি। সার-বীজের কোন সংকট নেই। তিনি বলেন, উপজেলার কোথাও কোন জমি পতিত রাখা যাবে না। সমস্ত জমিতে কোন না কোন ফসল উৎপাদন করতে হবে, প্রয়োজনে পতিত জমি আবাদ করতে আমরা সরকারিভাবে সহায়তা করবো। তবুও জমি পতিত রাখা যাবে না। তিনি আমন ফসল উঠার পর সরিষা উৎপাদনের প্রতি কৃষকদের পরামর্শ দেন। পরিদর্শনকালে তিনি স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলেন। তিনি দেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ করতে কৃষকদেরকে উৎসাহিত করেন ও পরামর্শ দেন।     

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নয়ন মিয়া বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় স্থানীয় আমন জাত ৮ শ’ ৫৫ হেক্টর ও উফসী আমন ৭ হাজার ৯শ’ হেক্টরসহ মোট ৮ হাজার ৭শ’ ৫৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদ হয়েছে। ধানের লক্ষমাত্রা হচ্ছে ৩০ হাজার মেঃ টন। তিনি আরো জানান, আমন ফসল উঠার পর গত বছর ২ শ’ ৩০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষাবাদ হয়েছিল। এ বছর ২৬০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদ হবে। কৃষি অফিসার বলেন, চলতি বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষি কর্মকর্তা আরো জানান, কৃষি উৎপাদন ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষকদেরকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।  
উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের কৃষক সাদিকুর রহমান ও আব্দুল কাদির জানান, এ বছর সময়মতো বীজ ও সার পাওয়ায় আমন ধান চাষাবাদ করতে পেরেছি। এখন ফসল পরিচর্যা করছি। লক্ষণ খুবই ভালো, আশা করি, এ বছর আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে এবং সোনার ফসল ঘরে তুলতে পারবো।