বিছনাকান্দির লুনি নদীতে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী

বিছনাকান্দির লুনি নদীতে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি বলেছেন, গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি ইউনিয়নের লুনি নদী (আনফরের ভাঙ্গায়) সেতু নির্মিত হলে শুধু বিছনাকান্দি ইউনিয়নবাসী নয় বরং এর উপকার পাবে পুরো সিলেটবাসী।

মন্ত্রী বলেন, এ সেতুটি নির্মাণ হলে বিছনাকান্দি পর্যটনকেন্দ্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। এছাড়া, সিলেটের পর্যটনে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে। দেশ-বিদেশ থেকে সিলেটে ঘুরতে আসা ভ্রমণ পিপাসুরা যাতে মাত্র দুই দিনে ২৩টি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখতে পারেন সে লক্ষ্যেই সরকার কাজ করছে।


মন্ত্রী গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি ইউনিয়নে লুনি নদীর উপর (আনফরের ভাঙ্গায়) সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সেতু নির্মাণে ব্যয় হবে ৩৯ কোটি টাকা।

প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী জানান, আনফরের ভাঙ্গায় সেতু নির্মাণের পাশাপাশি গোয়াইনঘাটের জাফলং থেকে কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ পর্যন্ত ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষে ৩০ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

মন্ত্রী বলেন, সীমান্ত এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান ও পর্যটনশিল্পে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ সম্ভাবনার বিষয়টি মাথায় রেখে দ্রুত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী ইতোমধ্যে প্রাথমিক জরিপ সম্পন্ন করেছে সিলেট সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

মন্ত্রী বলেন, সীমান্তঘেঁষা ৩০ কিলোমিটার পথে ভ্রমণ পিয়াসুরা ভারত সীমান্তঘেঁষা অধিকাংশ স্থানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।

মন্ত্রী বলেন, সরকারের উন্নয়ন পরিক্রমায় সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে পর্যটনমুখী কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এ উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে। মাত্র ৩০ কিলোমিটার রাস্তা এ অঞ্চলের পর্যটনশিল্পকে আমূল বদলে দেবে। এই সড়ক ঘিরে সবুজ পাহাড়ের নিচে গড়ে উঠবে হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট। সেই সঙ্গে সীমান্ত এলাকার গ্রামগুলোয় ইকো ট্যুরিজমের সুযোগ তৈরি হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক আহমদ, জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ, গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমান, গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফজলুল হক, গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম নজরুল ইসলাম, গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আসলাম, সাধারণ সম্পাদক ও পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া হেলাল, সাবেক চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা লুৎফুর রহমান লেবু, সিলেট জেলা পরিষদ সদস্য সুবাস দাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র পাল ছানা ও শামসুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট জামাল উদ্দিন ও ফরিদ আহমদ শামিম, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হক, রুস্তমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, পূর্ব আলীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, ডৌবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম নিজাম উদ্দিন, উত্তর রনিখাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়জুর রহমান, পূর্ব জাফলং ইউপি চেয়ারম্যান রফিক আহমদ, গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ফারুক আহমদ, রুস্তমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আশিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা সামাদ মেম্বার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মারুফুল হাসান, জৈন্তিয়া কেন্দ্রীয় ছাত্র পরিষদের সভাপতি মাহফুজুল কিবরিয়া, রুস্তমপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক ও ইউপি সদস্য কামাল আহমদ, যুগ্ম আহবায়ক ফয়ছল আহমদ, যুবলীগ নেতা জয়নাল আবেদীন, আবুল হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুফিয়ান আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রেজওয়ান রাজিব, ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা মুজিবুর রহমান প্রমুখ।