বড়লেখায় নদীতে পড়ে নিখোঁজের ২৮ ঘন্টা পর ভেসে উঠল যুবকের লাশ

বড়লেখায় নদীতে পড়ে নিখোঁজের ২৮ ঘন্টা পর ভেসে উঠল যুবকের লাশ

বড়লেখা (মৌলভীবাজার) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার বর্ণি ইউনিয়নের বরুদল নদীতে ইঞ্জিলচালিত নৌকা থেকে পড়ে নিখোঁজের প্রায় ২৮ ঘন্টা পর মোহাম্মদ সুজনের (৩৫) লাশ ভেসে উঠেছে। গত রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বরুদল নদীর ফকিরাবাজার এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগেদিন শনিবার সকাল নয়টার দিকে তিনি ইঞ্জিলচালিত নৌকা থেকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা চালিয়েও তার কোনো সন্ধান পায়নি। পরে উদ্ধার কাজ স্থগিত করা হয়। নিহত মোহাম্মদ সুজন সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার শরীফগঞ্জ ইউনিয়নের নূরজাহানপুর এলাকার বাসিন্দা ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে। সুজন মৃগী রোগে আক্রান্ত বলে জানা গেছে। 

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে বাড়ি থেকে মোহাম্মদ সুজনসহ কয়েকজন ব্যক্তি গাছ নিয়ে ইঞ্জিন চালিত নৌকাযোগে বড়লেখা উপজেলার চান্দ্রগ্রাম এলাকার একটি স-মিলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। সকাল নয়টার দিকে বড়লেখা উপজেলার বর্ণি ইউনিয়নের মিহারী এলাকায় পৌঁছামাত্র সুজন হঠাৎ নৌকা থেকে বরুদল নদীতে পড়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। খবর পেয়ে বেলা ১১টার দিকে বড়লেখা থেকে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে যান। পরে সিলেট থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে নদীতে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত নদীতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও নিখোঁজ মোহাম্মদ সুজনের কোনো সন্ধান মেলেনি। পরে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়। এদিকে নিখোঁজের প্রায় ২৮  ঘন্টা পর গত রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বরুদল নদীর ফকিরাবাজার এলাকায় সুজনের লাশ ভেসে উঠে। পরে লাশ উদ্ধারের পর স্থানীয় ইউপি সদস্যদের উপস্থিতিতে স্বজনরা নিয়ে যান। 

বড়লেখা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. শামীম মোল্লা রোববার বিকেলে বলেন,  শনিবার সিলেট থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল দিনভর বরুদল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালিয়েও নিখোঁজ মোহাম্মদ সুজনের কোনো সন্ধান পায়নি। মিহারী এলাকা ছাড়াও আশপাশ স্থানে খোঁজা হয়েছে। পরে উদ্ধার কাজ স্থগিত করা হয়েছে। নদীতে প্রবল স্রোত থাকায় লাশ ভেসে গিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। আজ (রোববার) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ফকিরাবাজার এলাকায় তার লাশ ভেসে উঠেছে। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্যদের উপস্থিতিতে স্বজনরা লাশ নিয়ে গেছেন। স্বজনরা বলেছেন, তাদের কোনো অভিযোগ নেই।  বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।