ভারতের চাপে পিছিয়ে গেল চীনা জাহাজের শ্রীলঙ্কায় প্রবেশ

ভারতের চাপে পিছিয়ে গেল চীনা জাহাজের শ্রীলঙ্কায় প্রবেশ

রয়েল ভিউ ডেস্ক:
চীনা নজরদারি জাহাজ ‘ইউয়ান ওয়াং-৫’এর শ্রীলঙ্কা সফরে রাশ টানল রনিল বিক্রমসিংহে সরকার। আগামী ১১ আগস্ট দক্ষিণ শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে ভেড়ার কথা ছিল চীনা নৌবাহিনীর আধুনিক ওই ‘স্পেস-স্যাটেলাইট ট্র্যাকার শিপের’।

২০০৭ সালে নির্মিত ১১ হাজার টনের ওই নজরদারি জাহাজটি বর্তমানে তাইওয়ান প্রণালীর কাছে রয়েছে। জিয়াংইন বন্দর থেকে সেটি দক্ষিণ চীন সাগরের অভিমুখে যাত্রা শুরু করেছিল।

উপগ্রহের উপর নজরদারির কাজে ব্যবহৃত ওই জাহাজটিকে কিছু দিনের জন্য পোতাশ্রয় হিসাবে, হাম্বানটোটা বন্দরকে ব্যবহার করতে দিতে জুলাইয়ের গোড়ায় শ্রীলঙ্কাকে অনুরোধ জানিয়েছিল বেইজিং। তাতে প্রাথমিক সম্মতিও মিলেছিল।

কিন্তু ২০১৪ সালে দুটি চীনা ডুবোজাহাজের হাম্বানটোটা সফরের পর আপত্তি তোলা হয়েছিল ভারতের পক্ষ থেকে। ‘ইউয়ান ওয়াং-৫’ নিয়েও একই ভাবে উদ্বেগ জানানো হয়েছিল শ্রীলঙ্কাকে। আর্থিক সংকটে ধ্বস্ত শ্রীলঙ্কাকে গত কয়েক মাসে নানাভাবে সাহায্য করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। এই পরিস্থিতিতে ‘ইউয়ান ওয়াং-৫’ এর হাম্বানটোটা সফর অনির্দিষ্ট কালের জন্য পিছিয়ে দিতে শুক্রবার বেইজিংকে বার্তা দিয়েছে কলম্বো। ভারতের অনুরোধে সাড়া দিয়েই শ্রীলঙ্কার এমন পদক্ষেপ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ।
 
আগস্ট ও সেপ্টেম্বরজুড়ে ভারত মহাসাগরের উত্তর-পশ্চিম অংশে স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রণ, রিসার্চ ট্র্যাকিং ও স্পেস ট্র্যাকিং- সব ধরনের নজরদারি চালানোর কথা ছিল ওই চীনা জাহাজটির। আশঙ্কা ছিল, শ্রীলঙ্কার বন্দর থেকে লুকিয়ে নজরদারি চালাতেই চীনা জাহাজটি হয়তো এখানে উপস্থিত হচ্ছিল।

এক রিপোর্টের দাবি ছিল, প্রায় ৭৫০ কিলোমিটার এলাকায় বায়বীয় নজরদারি চালাবার ক্ষমতা রয়েছে জাহাজটির। সুতরাং চাইলেই ওই জাহাজ ভারতীয় সীমান্তে থাকা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র এবং কালাপাক্কাম ও কুডানকুলাম অঞ্চলের দিকে নজরদারি চালাতে পারত। পাশাপাশি কেরালা, তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশের বন্দরগুলো সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করে নিতে পারত তারা।