মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত

মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত

রয়েল ভিউ ডেস্ক: 

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট। 

শুক্রবার সকালে জাতীয় পতাকা তুলে দিনটি উযাপন শুরু হয়। এরপর সকাল ১০টায় মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে অবস্থিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সরকারের অতিরিক্ত সচিব এসএম মাহাবুবুর রহমান। সঙ্গে ছিলেন ট্রাস্টের সচিব (উপসচিব) তরফদার আক্তার জামীল, ট্রাস্টের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী, যুদ্ধাহত ও খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবার এবং মৃত, যুদ্ধাহত ও খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা। 

বেলা সাড়ে ১১টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে একটি বৃহৎ আকৃতির কেক কাটা হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের ওপর বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 
এতে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ট্রাস্ট্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন। আলোচনা সভা শেষে জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্য এবং দেশের উন্নয়ন কামনা করে দোয়া করা হয়।

১৯২০ সালের ১৭ মার্চ স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ার শেখ পরিবারে। 

শিশুকালে ‘খোকা’ নামে পরিচিত শিশুটি পরবর্তী সময়ে হয়ে ওঠেন নির্যাতিত-নিপীড়িত বাঙালি জাতির মুক্তির দিশারি। গভীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, আত্মত্যাগ ও জনগণের প্রতি অসাধারণ মমত্ববোধের কারণেই পরিণত বয়সে হয়ে ওঠেন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা।
 
তার নির্দেশনায় নয় মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বীর বাঙালি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ছিনিয়ে আনে বিজয়। জন্ম হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।