মাঙ্কিপক্স নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি বৈঠক

মাঙ্কিপক্স নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি বৈঠক

রয়েল ভিউ ডেস্ক:
বিশ্বজুড়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে মাংকিপক্স নামের বিরল রোগ। কীভাবে এর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব কিংবা কী পদ্ধতিতে এর মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। শুক্রবারের (২০ ফেব্রুয়ারি) বৈঠকে উপস্থিত থাকছেন বিশ্বসেরা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

অনেকে দাবি করে সমকামী পরুষদের থেকেই মাঙ্কিপক্স দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই বিরল রোগের সঙ্গে সমকামীদের কোনো সম্পর্ক এখনো পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন। খবর ইনসাইডারের

জানা গেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বৈঠকে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার কারণ খুঁজতে বিস্তারিত আলোচনা হবে। এরই মধ্যে মাঙ্কিপক্সের হাত থেকে নিস্তার পেতে কোন ভ্যাকসিন কার্যকরী হবে তা নিয়ে নানাবিধ পরীক্ষা-নিরিক্ষা চালানো হচ্ছে।

চলতি মে মাস থেকেই এই ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই ব্রিটেন, স্পেন, বেলজিয়াম, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া এবং কাডানায় এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

১৮ মে (বুধবার) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস বিভাগের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা প্রথম একজন ব্যক্তির শরীরে মাঙ্কিপক্সের সন্ধান পান। তিনি সম্প্রতি কানাডা থেকে ফিরেছেন। শুধু এই একটি ঘটনা নয়, ইউ এস সেন্টার ফর ডিসিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন আরও মাঙ্কিপক্সের ঘটনা সামনে আসার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না।

যারা মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা হচ্ছে। তবে এখনই সাধারণ মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কতটা কারণ রয়েছে, তা নিয়েই কাটাছেঁড়া করছে বিশ্বের চিকিৎসকমহল।

মাঙ্কিপক্স আদতে কী? কতটা ভয়াবহ এই ভাইরাস? মাঙ্কিপক্স ভাইরাস বায়ুবাহিত। এই ভাইরাসের জেরে যে রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ, তাকেই মাঙ্কিপক্স বলা হচ্ছে। এই রোগ হলে জ্বরে ভোগেন অনেকে।

দেহে তৈরি হয় বড় বড় ফোস্কা। বর্তমানে টিকাকরণের জন্য স্মলপক্স অনেকটাই সেরে উঠেছে। এখনও পশ্চিম আফ্রিকাসহ একাধিক দেশে মাঙ্কিপক্সের দেখা পাওয়া যায়।

১৯৫৮ সালে প্রথম মাঙ্কিপক্স পাওয়া গিয়েছিল। মূলত ইঁদুর থেকেই এই ভাইরাস ছড়ায় বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। তবে মূল চিন্তার বিষয় একজন আক্রান্তের থেকে মাঙ্কিপক্স অন্য ব্যক্তির দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে। মাঙ্কিপক্সের থেকে স্মলপক্স অনেকটাই আলাদা। মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তদের দেহে বড়বড় ফোস্কা পড়ে।