মাদক নিয়ন্ত্রণে সকলে মিলে সমন্বিত উদ্যোগে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে  : জাহিদ হোসেন মোল্লা

মাদক নিয়ন্ত্রণে সকলে মিলে সমন্বিত উদ্যোগে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে  : জাহিদ হোসেন মোল্লা

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগের পরিচালক জাহিদ হোসেন মোল্লা বলেছেন, দেশের প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষ মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। এর মধ্যে প্রায় ৬০ লক্ষ হচ্ছে যুবসমাজ। বিশাল জনগোষ্ঠী বিশেষ করে যুবসমাজ মাদকের সাথে জড়িয়ে পড়ায় আমরা চরম শঙ্কায় রয়েছি। এমনকি এটি উন্নয়নের পথে অন্তরায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বুধবার সকালে নগরীরর একটি অভিজাত হোটেলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় স্টেপস্ টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট এবং আইডিয়ার আয়োজনে জেলা পর্যায়ের একটি কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী বত্রিশটি জেলার মাদক পাচারের চিত্র এবং পাচার মোকাবেলায় সমন্বিত কৌশল নির্ধারণ শীর্ষক গবেষণা কাজের জেলা পর্যায়ের এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। আইডিয়ার নির্বাহী পরিচালক নজমুল হকের সঞ্চালনায় কর্মশালায় অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহিদ হোসেন মোল্লা আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। সেটি বাস্তবায়নে সকলের সমন্বিত উদ্যোগ আর অংশগ্রহণ জরুরী। এজন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর প্রশাসনের সকল পর্যায়ের লোকজন, জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের সচেতন লোকদেরকে নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে ধর্মীয় নেতা, মসজিদের ইমাম, শিক্ষক, পুরোহিত সকলের ভূমিকা রাখা দরকার। তিনি বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে সকলে মিলে সমন্বিত উদ্যোগে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। কারণ পরিবার থেকে শুরু করে সমাজের সকল স্তরের মানুষকে মাদকের নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে। নিজের সন্তানের সুরক্ষা নিজেকেই দিতে হবে। সে কখন কোথায় যাচ্ছে, কার সাথে বন্ধুত্ব করছে এগুলো খেয়াল রাখতে হবে। মাদকাসক্তদের চিকিৎসার মাধ্যমেও সুস্থ্য করে তুলতে হবে। এজন্য মনো চিকিৎসার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সিলেটের উপ পরিচালক মলয় ভূষণ চক্রবর্ত্তী। বক্তব্য রাখেন স্টেপস্ টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট এর প্রতিনিধি মো. ইমাম হোসেন, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গোলাম রব্বানী মজুমদার, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সিলেটের প্রোগ্রাম অফিসার শামছুন্নাহার, টুলটিকর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম আলী হোসেন, তেতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওলিউর রহমান ওলি, দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সুমন কুমার চৌধুরী, এফআইভিডিবির সিনিয়র কো অর্ডিনেটর ফখরুল ইসলাম চৌধুরী, চা শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেট জেলার সভাপতি রাজু গোয়ালা, ইউপি সদস্য শিরিন আক্তার, বাধন মাদকাসক্তি পুনর্বাসন কেন্দ্রের প্রোগ্রাম অফিসার মুহাম্মদ খসরুজ্জামান, প্রতিশ্রুতি মাদকাসত্তি পুনর্বাসন কেন্দ্রের খালেদ আহমদ, শিক্ষিকা ফাতেহা করিম ফাহিমা প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি