মৌলভীবাজারের সদর হাসপাতালে আড়াই মাসেও সচল হয়নি এক্স-রে মেশিন!

মৌলভীবাজারের সদর হাসপাতালে আড়াই মাসেও সচল হয়নি এক্স-রে মেশিন!

মৌলভীবাজার সংবাদদাতা :
গত আড়াই মাসেও সচল হয়নি মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর আধুনিক হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি নষ্ট হওয়ার পর থেকে এটি অচল পড়ে আছে। সরকারি হাসপাতাল হওয়াতে সাধারণ গরিব রোগীরা কম মুল্যে এখানে জরুরি এক্স-রে করাতে পারতেন। কিন্তু বর্তমানে মেশিনটি অচল থাকায় বিভিন্ন ডায়গনস্টিক সেন্টারে গিয়ে ২-৩ গুণ বেশি মুল্যে এক্স-রে করতে হচ্ছে। এতে প্রতিদিন জেলার ৭টি উপজেলার হাজার হাজার রোগীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সদর হাসপাতালের পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে জানা যায় এখানের আউটডোরে প্রতিদিন ৬/৭ শ’ রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন।এছাড়া ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩ শ পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায়। মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে সদর হাসপাতালে গেলে দেখা যায়, জেলার বিভিন্ন এলাকার শতশত রোগী এসেছেন চিকিৎসা নিতে। শিশু এবং বয়স্করা আবার জরসহ শ্বাসনালীর বিভিন্ন জটিল সমস্যায় ভোগছেন। এসব রোগীর বেশিরভাগেরই চিকিৎসা দিতে বুকের এক্সরে প্রয়োজন হয়। কিন্তু হাসপাতালের এক্সরে মেশিনটি অচল থাকায় ডাক্তাররা বাইরে থেকে এক্স-র করে নিয়ে আসার জন্য লিখে দিচ্ছেন ।

কমলগঞ্জ উপজেলার বৃন্দাবনপুর থেকে জর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে এসেছেন নিপেন্দ্র দাস (৫৮) নামক একজন দিনমজুর। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রক্তের সিবিসি ও বুকের এক্স-রে করে নিয়ে আসার জন্য লিখে দিয়েছেন।

তিনি জানান,রক্তের পরীক্ষা হাসপাতালে হবে। তনে এক্সরে বাইরে থেকে করে আনতে হবে।

শমসের নগরের আব্দুল কাইয়ুম (৪৫), টেংরা বাজারের অনুকুল দাস (৩৫), মোকাম বাজারের জহির মিয়া (৫২), শহরের সাবিত্রী মোদক(৩৪) সহ চিকিৎসা নিতে আসা আরও ২০-৩০ জন জানালেন, সদরে ১৫০-২০০ টাকায় যে এক্সরে করা যায় বাইরে থেকে তা ৬-৮ শ টাকা দিয়ে করতে হয়। অনেক গরিব রোগী অনেক দূরদূরান্ত থেকে চিকিৎসা নিতে এলেও টাকার অভাবে লিখে দেওয়া এক্সরে করতে না পেরে চিকিৎসা অসমাপ্ত রেখে ফিরে যাচ্ছেন।

মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতালের সুপারিন্টেন্ডেন্ট ডা. এ কে এম হুমায়ুন কবির জানান এখানের এক্স-রে মেশিনটি দেশের জেলারেল হাসপাতালেগুলোর মধ্যে অন্যতম। তাই এটার কাজ সকল ইঞ্জিনিয়ার করতে পারে না।

এক্সরে মেশিন অচল হওয়ার পর আমরা এনইএমইএমডব্লিউ টিসিতে (ন্যাশনাল ইলেকট্রো মেডিকেল ইকুইপমেন্ট মেইনটেনেন্স ওয়ার্কশপ এন্ড ট্রেইনিং সেন্টার) চিঠি দেই । তারা সরেজমিন এসে কাজ অকরছে।আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি এটি সচল হবে।