যে কারণে আসন ছাড় দিল আ.লীগ

যে কারণে আসন ছাড় দিল আ.লীগ

রয়েল ভিউ ডেস্ক:
নির্বাচন সামনে এলে জোটের গড়া ভাঙার খেলা শুরু হয়। গত কয়েকটি জাতীয় নির্বাচনের আগে এমন দৃশ্য চোখে পড়েছে। এবারও জোটের আকার বাড়াতে ছোট ছোট দলগুলোর কদর বেড়েছে প্রধান দুদল বিএনপি ও আওয়ামী লীগ শিবিরে। 

বিএনপির সঙ্গে বেশ কয়েকটি জোট যুক্ত হয়ে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছে। বিএনপি-জামায়াতসহ তাদের জোটসঙ্গীদের ২৭ দফা মোকাবিলায় দীর্ঘদিনের পুরোনো ও আদর্শিক মিত্রদের নিয়েই নির্বাচনি লড়াইয়ে অংশ নিতে চায় আওয়ামী লীগ।

এর অংশ হিসাবে বিএনপিদলীয় সংসদ-সদস্যদের পদত্যাগে শূন্য হওয়া জাতীয় সংসদের ছয়টি আসনের উপনির্বাচনে জোট শরিকদের দুটি আসন ছেড়ে দিয়ে নতুন করে সেই বার্তাটাই দিল ক্ষমতাসীনরা।

১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সংসদীয় বোর্ডের সভায় উপনির্বাচনের আসনগুলোয় দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়। ওই বৈঠকে ১৪ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদকে দুটি আসন ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায় আওয়ামী লীগ। এর বাইরে তিনটি আসনে তারা দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করে। আরেকটি আসনে কোনো প্রার্থী না দিয়ে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ১৪ দলীয় জোটের শরিক দুই প্রধান দলকে উপনির্বাচনে দুটি আসন ছেড়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে অগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশের মানুষকে একটি বার্তা দিতে চায় আওয়ামী লীগ। আর এই বার্তাটি হচ্ছে বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধীদল ও জোটকে মোকাবিলায় অতীতের মতো আগামী দিনেও দীর্ঘদিনের পুরোনো এবং আদর্শিক মিত্রদের নিয়ে একসঙ্গে পথ চলবে তারা। অতীতের তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো আগামী দিনেও ঐক্যবদ্ধভাবে ভোটের মাঠে থাকবে ১৪ দলীয় জোট। এ কারণে মান-অভিমানসহ দীর্ঘদিনের টানাপোড়েনের অচলায়তন ভেঙে শরিকদের পুরোমাত্রায় সক্রিয় করতেই তাদের নামানো হয়েছে ভোটের লড়াইয়ে।

এ বিষয়ে ১৪ দলের সমন্বয়ক ও প্রবীণ রাজনীতিক আমির হোসেন আমু বুধবার গণমাধ্যমকে বলেন, যে দুটি আসনে শরিকদের ছাড় দেওয়া হয়েছে এর আগেও তাদের ওই আসনে ছাড় দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। রাজপথে ও নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোট একসঙ্গে ছিল, আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। 

উনির্বাচনে আসন ছাড়ের বিষয়ে জানতে চাইলে ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম প্রধান শরিক দল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ রাশেদ খান মেনন এমপি বুধবার যুগান্তরকে বলেন, অতীতের তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় জোট একসঙ্গে করেছে। আগামী নির্বাচন সামনে রেখেও একই লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে ১৪ দল। তিনি আরও বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এই উপনির্বাচনে শরিক দলগুলোর মধ্যে আসন ভাগাভাগি একটি ‘ড্রেস রিহার্সেল’ বলা যেতে পারে। এতে শরিক দলগুলোর মধ্যে একে অপরের প্রতি আস্থা এবং বিশ্বাসের জায়গাটার আরও উন্নতি ঘটবে।