যারা রায়হানকে প্রাণভিক্ষা দেয়নি তারা ক্ষমার অযোগ্য : রায়হানের মা

যারা রায়হানকে প্রাণভিক্ষা দেয়নি তারা ক্ষমার অযোগ্য : রায়হানের মা

রয়েল ভিউ ডেস্ক :
২০২০ সালের ১০ অক্টোবর সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আকবর হোসেন যুবক রায়হানকে পিটিয়ে হত্যা করে। ওই সময় দেশব্যাপী আলোড়ন তোলা এ ঘটনার এক বছর হচ্ছে আজ। এ ঘটনায় নিহত রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়েরের পর পুলিশের এসআই আকবর হত্যার দায় স্বীকার করে। এ মামলায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর চার্জশিট গ্রহণ করেছে আদালত। তবে এখনো শুরু হয়নি বিচারকাজ।

গতকাল রবিবার সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করে দ্রুত বিচার কাজ শুরুর দাবি জানানো হয়। ওই কর্মসূচিতে ১৫ মাসের মেয়ে আলফাকে নিয়ে রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার ও মা সালমা বেগম উপস্থিত ছিলেন।  এ সময় তারা রায়হান হত্যা মামলার বিচারকাজ দ্রুত শুরু করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন, পলাতক আসামি আব্দুল্লাহ আল নোমানকে গ্রেফতার এবং সব আসামির ফাঁসি দাবি করেন।

বিচার শুরু করার দাবিতে আয়োজিত এ মানববন্ধনে রায়হানের মা সালমা বেগম বলেন, খুনি নোমানকে দ্রুত গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারকার্য সম্পাদনের দাবি জানাচ্ছি। যদিও চার্জশিট প্রদানে ও গ্রহণে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। সালমা বেগম আরও বলেন, কোনো খুনির সঙ্গে আপস কিংবা ক্ষমা নয়। তারা কি আমার ছেলে রায়হানের প্রাণ ভিক্ষা দিয়েছিল? যারা প্রাণ ভিক্ষা দেয়নি তারা ক্ষমার যোগ্য নয়? খুনিদের ক্ষমা করলে আরও অনেক পুলিশ ফাঁড়িতে হত্যার ঘটনা ঘটবে। 

মানববন্ধনে রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি বলেন, পুলিশ অফিসারসহ খুনিরা সবাই গ্রেফতার হলো, স্বীকারোক্তিও দিল; কিন্তু খুনি নোমান কেন গ্রেফতার হয় না? 

২০২০ সালের ১০ অক্টোবর যুবক রায়হানকে ধরে নিয়ে যায় সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়ির পুলিশ। ফাঁড়িতে পিটিয়ে হত্যার পর ১১ অক্টোবর লাশ উদ্ধার হয়। এ নিয়ে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হলে পুলিশের ৫ সদস্যকে বরখাস্ত করে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে অভিযুক্তরা আদালতে হত্যার স্বীকারোক্তিও দেয়। এ হত্যাকাণ্ডের সহযোগী বিতর্কিত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমান এখনো গ্রেফতার হয়নি।