যশোরে শত বছরের পুরনো গাড়ি নিয়ে ইউরোপীয় পর্যটক দল

যশোরে শত বছরের পুরনো গাড়ি নিয়ে ইউরোপীয় পর্যটক দল

রয়েল ভিউ ডেস্ক:
ইউরোপের একদল পর্যটক শত বছরের পুরোনো বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের ১৮টি গাড়ি নিয়ে বাংলাদেশ ভ্রমণ শেষে ভারত গেল।

শুক্রবার সকালে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে ইউরোপের এই পর্যটক দলটি ভারতে গেছে বলে জানান, আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ওসি আবুল কালাম আজাদ।

বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি কামাল হোসেন ভূইয়া বলেন, বেনাপোলে পৌঁছালে পর্যটক দলকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শার্শার এসিল্যান্ড ফারজানা ইসলাম, কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার তানভীর রহমান, ইমিগ্রেশন ওসি আবুল কালাম আজাদ, আইসিপি ক্যাম্পের সুবেদার নজরুল ইসলাম। এই র‌্যালিতে প্রাচীন ভিনটেজ মডেলের ১৬টি কার (গাড়ি) ও ২টি ডাবল ইঞ্জিন বিএমডব্লিউ মোটরসাইকেল রয়েছে। এই দলে ৩৪জন পর্যটক ও ৯জন সহকারী আছেন। যাদের প্রত্যেকের বয়স ৬০ বছরের বেশি।

গত ৬ নভেম্বর সকালে ভারতের ডাউকি সীমান্ত হয়ে সিলেটের তামাবিল ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে বাংলাদেশ আসে ৪৩ জনের বিদেশি পর্যটক দল। পরে ৮ নভেম্বর বিকালে তারা গাজীপুরের সারাহ রিসোর্টে পৌঁছান। সারাহ রিসোর্টে রাতযাপন শেষে ৯ নভেম্বর সকালে তারা পাবনার উদ্দেশে রওয়ানা হন। পাবনায় একরাত থেকে যশোর পৌঁছায় এই পর্যটক দল।

কয়েকটি জেলা ঘুরে চারদিন পর বৃহস্পতিবার তারা যশোরে এসে পৌঁছান। যশোরের জাবির হোটেল ইন্টারন্যাশনালে একরাত অবস্থান করে শুক্রবার সকালে তারা বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের করেন।

ভ্রমণকালে বাংলাদেশের মানুষ, প্রকৃতি, শিল্প, সংস্কৃতি, খাবারের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন বিদেশি এই পর্যটকরা। যশোরে মানুষের আচার-আচরণ, প্রাকৃতিক রূপ, রস আর আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তারা। গত ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক ইস্ট ইন্ডিয়া হিমালয় ভিনটেজ কার র‌্যালিতে অংশ নেয়া দলটি এ বছর বাংলাদেশসহ তিনটি দেশ ভ্রমণ করবে। ২৪ দিনের ভ্রমণে তিন হাজার ২৪৪ কিলোমিটারের পথ পাড়ি দিয়ে র‌্যালিটি ১২ নভেম্বর কলকাতায় গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

শত বছরের পুরোনো নামিদামি মডেলের গাড়ি দেখে উচ্ছ্বসিত যশোরের মানুষ। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকে গাড়ির র‌্যালি দেখেছেন স্থানীয়রা। বেনাপোলে একজন দর্শনার্থী মশিয়ার রহমান (৫৮) বলেন, ‘আমার বয়সে এমন ডিজাইনের গাড়ি দেখিনি। প্রথমবারের মতো দেখলাম। অনেক ভালো লাগলো।’

বেলজিয়াম, পর্তুগাল, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাজ্যসহ অন্তত ৯টি দেশের নাগরিক নিজেদের খরচে এই ভ্রমণে বের হয়েছেন। প্রতি বছর তারা এই অ্যাডভেঞ্চার আনন্দ শোভাযাত্রা করেন বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ অংশের ব্যবস্থাপনা করেছে ‘দ্যা জার্নি ওয়ালেট’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। দ্য জার্নি ওয়ালেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিউর রহমান বলেন, পর্যটক দলটি বাংলাদেশে এসে অনেক খুশি হয়েছে। এ দেশের সংস্কৃতি, আচার-আচরণ তাদের পছন্দ হয়েছে। এদের অনেক গাড়ি ৮০ ও ১০০ বছরের পুরোনো।