রেমিট্যান্স ৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন

রেমিট্যান্স ৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন

রয়েল ভিউ ডেস্ক:
দেশে রেমিট্যান্স আয় গত দুই মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে কমছে। সদ্য সমাপ্ত অক্টোবর মাসে রেমিট্যান্স কমে দাঁড়িয়েছে ১৫২ কোটি ৫৪ লাখ মার্কিন ডলার। যা গত ৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থান। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৪৯ কোটি ৪৪ লাখ মার্কিন ডলার। এরপর রেমিট্যান্স প্রবাহ ওঠানামা করলেও এতটা কমেনি। এবার যা গত ৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে। গত বছরের অক্টোবরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৪ কোটি ৬৯ লাখ ডলার।

অন্যান্য সময়ের মতো এবারও ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। অক্টোবরে ব্যাংকটির মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৫ কোটি ৮৪ লাখ ডলার। এরপরেই রয়েছে অগ্রণী ব্যাংকের অবস্থান। ব্যাংকটির মাধ্যমে ১০ কোটি ৬৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এ ছাড়া সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ৮ কোটি ৯৪ লাখ ডলার, ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে ৮ কোটি ৬৫ লাখ ডলার এবং আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ৮ কোটি ৪৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

এদিকে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাঁচ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩০ কোটি ৭২ লাখ মার্কিন ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১১৮ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৭১ লাখ মার্কিন ডলার। আর বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ  মার্কিন ডলার, আগস্টে এসেছে ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ১৫৩ কোটি ৯৫ লাখ মার্কিন ডলার।

বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ওই অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে এসেছিল ১৮৭ কোটি ১৪ লাখ ডলার, আগস্টে ১৮১ কোটি ১ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৭২ কোটি ৬৭ লাখ, অক্টোবরে ১৬৪ কোটি ৬৮ লাখ, নভেম্বর ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ এবং ডিসেম্বরে ১৬৩ কোটি ৬ লাখ, জানুয়ারিতে ১৭০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ১৪৯ কোটি ৪৪ লাখ, মার্চে ১৮৫ কোটি ৯৭ লাখ, এপ্রিলে ২০১ কোটি ৮ লাখ, মে মাসে ১৮৮ কোটি ৫৩ লাখ এবং জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮৪ কোটি মার্কিন ডলার। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।