রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে..

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে..
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে..

ডেস্ক রিপোর্ট:
ইউক্রেনে রাশিয়া সামরিক অভিযান শুরু করেছে। বিস্ফোরণে কাঁপছে রাজধানী কিয়েভসহ দেশটির বেশ কয়েকটি অঞ্চল।

বৃহস্পতিবার সকালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের এক ভাষণে ইউক্রেনে অভিযানের ঘোষণা দেয়ার পরপরই ইউক্রেন জুড়ে বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটছে।
 
এক প্রতিবেদকের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ দেশটির দোনেৎস্ক অঞ্চলের কামাটরস্কে বেশ কয়েকটি বিষ্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও উত্তর ইউক্রেনের কারকিভ, দক্ষিণের ওদিশা এবং পশ্চিম দোনেৎস্কের ওব্লাস্ট এলাকা থেকেও বিষ্ফোরণের খবর আসছে বলে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি। এছাড়া, কিয়েভের প্রধান বিমানবন্দর থেকেও বিষ্ফোরণের শব্দ আসছে বলেও জানানো হয়।

জাতিসংঘে নিযুক্ত ইউক্রেনের প্রতিনিধি কিসলাইটসার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রাশিয়া তার দেশে যুদ্ধ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘে নিযোজিত মস্কোর প্রতিনিধি। এদিকে, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

রাশিয়ার এই সামরিক অভিযানের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, সামরিক অভিযানের জন্য রাশিয়াকে চড়া মুল্য দিতে হবে। রাশিয়ার এই সামরিক অভিযানে ইউক্রেনে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের জন্য সারা বিশ্বের মানুষের প্রার্থনা থাকবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। রাশিয়ার এমন অভিযানের জবাব যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো এক সাথে দেবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বাইডেন।

এর আগে, সকালে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেয়ার সময় পুতিন ইউক্রেনের সেনা বাহিনীকে অস্ত্র ছেড়ে ফিরেও যেতে বলেন। এসময় প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, এই সামরিক অভিযানের সময় যদি অনাকাঙ্খিত কোন রক্তপাতের ঘটনা ঘটে তার জন্য দায়ী থাকবে ইউক্রেন সরকার। এই অভিযানের সময় রাশিয়ান সেনারা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে বলেও জানান তিন।  তবে, সামরিক অভিযানের ঘোষণা দিলেও ইউক্রেন দখল করা হবেনা বলে জানিয়েছে প্রেসিডেন্ট পুতিন।

উল্লেখ্য, মাসব্যাপী যুক্তিরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর নানা কূটনৈতিক আলোচনা আর অবরোধ আরোপের হুমকির মুখেই সোমবার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা পূর্ব ইউক্রেনের দুইটি অঞ্চল দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ককে স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এমনকি স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেয়ার পরপরই সেখানে সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেন পুতিন। সেদিন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে এক বৈঠকে এ স্বীকৃতি দেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।