রহমানউল্লাহ-ইব্রাহিমের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড

রহমানউল্লাহ-ইব্রাহিমের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড

রয়েল ভিউ ডেস্ক: দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটে ৩৩১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল।

ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে আফগানদের এটা দলীয় সর্বোচ্চ রান। এর আগে ২০১৮ সালে এশিয়া কাপে সর্বোচ্চ ২৫৫ রান করেছিল আফগানরা।

তবে ওয়ানডেতে যে কোনো দলের বিপক্ষে আফগানদের দলীয় সর্বোচ্চ ৩৩৮ রান। ২০১৭ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তারা এই রান করে।

আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পরাজয় এড়াতে না পারলে সিরিজ হারাবে বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৭ রানে জয় পায় আফগানরা। 

শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে সফরকারী আফগানদের প্রথেমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। 

ব্যাটিংয়ে নেমেই ইনিংসের শুরু থেকে রীতিমতো তাণ্ডব চালাতে থাকেন দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। উদ্বোধনীতে তারা ২২১ বলে ২৫৬ রানের জুটির রেকর্ড গড়েন। 

এ রেকর্ড গড়ার পথে রহমানউল্লাহ-ইব্রাহিম জাদরান ছাড়িয়ে যান জাভেদ আহমাদি ও করিম সাদিককে। তারা ২০১২ সালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজায় উদ্বোধনী জুটিতে ১৪২ রানের রেকর্ড গড়েছিলেন। 

৩.১ ওভারে সাকিব আল হাসানের বল এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন গুরবাজ। তার আগে ক্যারিয়ারের ২০তম ওয়ানডেতে চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ১২৫ বলে ১৩টি চার আর ৮টি ছক্কার সাহায্যে ক্যারিয়ার সেরা ১৪৫ রান করেন রহমানউল্লাহ। 

রহমানউল্লাহ আউট হওয়র পর বালির বাঁধের মতো ভেঙে যায় আফগানিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ। কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৫৬ রান করা আফাগানিস্তান এরপর মাত্র ৭৫ রানের ব্যবধানে হারায় ৯ উইকেট। 

তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ বলে ২ রানে ফেরেন রহমত শাহ। ৭ বলে ২ রানে মেহেদি হাসান মিরাজের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি। ১৫ বলে ১০ রানে মিরাজের দ্বিতীয় শিকার নজিবুল্লাহ জাদরান।

ব্যাটসম্যানদের এই আসা-যাওয়ার মিছিলে ইনিংসের শুরু থেকেই দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন ইব্রাহিম জাদরান। সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পর তাকে সাজঘরে ফেরান কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। সাজঘরে ফেরার আগে ১১৯ বলে ৯টি চার আর একটি ছক্কার সাহায্যে ১০০ রান করেন ইব্রাহিম। 

এরপর মাত্র ৬, ২, ৫ ও ১ রানে আউট হয়ে ফেরেন আফগান তারকা লেগ স্পিনার রশিদ খান, পেসার আজমতউল্লাহ ওমরজাই, অফ স্পিনার মুজিব উর রহমান ও বাঁ-হাতি পেসার ফজলহক ফারুকি।