লন্ডন-ওয়াশিংটনে কোনো  বিক্ষোভ হয়নি, দাবি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর 

লন্ডন-ওয়াশিংটনে কোনো  বিক্ষোভ হয়নি, দাবি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর 

রয়েল ভিউ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফরকালে বিরোধীরা কোনো বিক্ষোভ করেননি বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এগুলোর অস্তিত্ব শুধু ফেসবুকেই বিদ্যমান বলেও দাবি করেন তিনি। 

ঢাকায় আগামী ১২-১৩ মে ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স আয়োজন নিয়ে গতকাল বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন ওয়াশিংটনে পৌঁছাই সেখানে কোনো বিক্ষোভকারী খুঁজে পাইনি। এমনকি লন্ডনে থাকা অবস্থায় কোনো বিক্ষোভকারীকে দেখতে পাইনি। কোনো মু-ও খুঁজে পাইনি। এগুলো ফেসবুকেই দেখি। ঘরের কোণায় বসে বানায়। যার কোনো সত্যতা নেই।’

ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমি হোটেল থেকে বের হয়ে বহুত খুঁজেছি কোনো একটা লোককে পাই কি না। কোনো একজন বিরোধী দলের লোক পাইলে তাকে জিজ্ঞেস করব, আপনারা এত অসন্তুষ্ট কেন? অথচ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আওয়ামী লীগের লোকজন লাইন ধরে ছিল।’ 
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ হলো গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের সুতিকাগার। আওয়ামী লীগ সবসময় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমি প্রায়ই বলি, সরকার ও নির্বাচন কমিশন চাইলেই অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিতে পারবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত না সরকারি ও প্রত্যেকটি বিরোধী দলকে অঙ্গীকারবদ্ধ ও অংশগ্রহণমূলক মনোভাব প্রকাশ করতে পারবে।’
ইউরোপের চেয়েও বাংলাদেশে বেশি ভোট পড়ে দাবি করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এখানে ভোটার যাকে ইচ্ছে তাকে ভোট দিতে পারেন। আমাদের এখানে ন্যূনতম অংশগ্রহণমূলক ৭২ শতাংশ ভোট পড়ে। ইউরোপে হয় ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ। আর আমেরিকায় কদাচিত ২৮ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে না।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলম ও ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর মাশফি বিনতে শামস।