শান্তিগঞ্জে ইজারা নেয়া জলমহালে প্রভাবশালী  কর্তৃক মৎস্য নিধন ॥ সংঘর্ষের আশঙ্কা

শান্তিগঞ্জে ইজারা নেয়া জলমহালে প্রভাবশালী  কর্তৃক মৎস্য নিধন ॥ সংঘর্ষের আশঙ্কা

শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে খাইবিল জলমহাল ইজারা নেয়ার পরেও একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী জোরপূর্বক খাঁটি ও জাল বসিয়ে মাছ নিধনের খবর পাওয়া গেছে। উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের খাইবিল জলমহালে একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী জোরপূর্বক দক্ষিণ সীমান্তের ৩টি জায়গায় পাড় কেটে খাঁটি ও জাল বসিয়ে মাছ নিধন করছে।

গত সোমবার সরেজমিন দেখা যায়, জলমহালের দক্ষিণ পাড়ের আইল কেটে দেদারছে লাখ লাখ টাকার মাছ ধরছেন হাঁসকুড়ি গ্রামের সমসু মিয়ার ছেলে সেজ্জুল ইসলাম ও আফাত মিয়ার ছেলে তবুল ইসলামের নিয়োজিত লোকজন। এ সময় ইজারাদারদের কথা না শুনে জাল বসিয়ে কেন মাছ ধরছেন এমন প্রশ্ন করলে তারা কোন সদোত্তর দিতে পারে নি। 

ইজারাদার জানায়, খাইবিল জলমহালটি বিগত ১৪২৮ থেকে ১৪৩৩ বাংলা পর্যন্ত উন্নয়ন স্কীমে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ইজারা পান হাঁসকুড়ি বীরগাঁও মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড। ইজারা পাওয়ার পর থেকে বিলে বাঁশ কাটা লাগানো থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজে প্রায় ২৫-৩০ লাখ টাকা খরচ করেছেন সমিতির লোকজন। কিন্তু লাভের দেখা না পেলেও একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী সম্পূর্ণ নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই প্রতিনিয়ত বিলের পাড় কেটে খাঁটি ও জাল বসিয়ে লাখ লাখ টাকার মাছ নিধন করছেন। বার বার নিষেধ করা সত্ত্বেও কর্ণপাত করেননি তারা। এতে বড় ধরনের লোকসানের আশংকা করছেন সমিতির লোকজন। এ নিয়ে যেকোন সময় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন স্থানীয়রা। 

হাঁসকুড়ি গ্রামের সমসু জানান, আমরা প্রতি বছরই এখানে মাছ ধরি। ‘এবার নতুন নায়, বাপ দাদার আমল থেকেই মাছ মাইরা আইরাম’ কোন কাগজ পত্র আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেন নি।  
হাঁসকুড়ি বীরগাঁও মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি সামছুন্নুর জানান, আমরা সরকার থেকে ৬ বছরের জন্য খাইবিলটি ইজারা এনেছি। কিন্তু বারবার নিষেধ দেয়ার পরেও হাঁসকুড়ি গ্রামের কিছু প্রভাবশালী লোক জোরপূর্বক আমাদের বিলের মাছ ধরে বড় ধরনের ক্ষতি করছে। আমরা এ ব্যাপারে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করি। 
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা জানান, বিষয়টি সরেজমিন পরিদর্শন করে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।