শাবির সাবেক ৫ শিক্ষার্থীকে সিলেট পুলিশের কাছে হস্তান্তর

শাবির সাবেক ৫ শিক্ষার্থীকে সিলেট পুলিশের কাছে হস্তান্তর

রয়েল ভিউ ডেস্ক :
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সাবেক ৫ শিক্ষার্থীকে আটক করে সিলেট পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

মঙ্গলবার সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আটকরা এখন রাস্তায় আছেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’

আটককৃতদের দুইজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন-শাবির আর্কিটেকচার বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী রেজা নূর মুঈন ও সিএসই বিভাগের হাবিবুর রহমান। বাকিদের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। 

এর আগে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের তুলে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

আটক শিক্ষার্থীদের পরিবার ও বন্ধুদের অভিযোগ, ভিসির পদত্যাগের দাবিতে শাবিপ্রবির চলমান আন্দোলনে কিছু অর্থ সহায়তা করায় তাদেরকে আটক করা হয়েছে।

সিআইডির এক সূত্র জানায়, অনেক সময় পুলিশের অন্যান্য ইউনিটগুলো সিআইডির সহায়তা চেয়ে থাকে। এটা আসলে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অভিযান। সিআইডি কেবল তাদের সহায়তা করেছে।

এর আগে গতরাতে শাবিপ্রবি'র সাবেক ২ শিক্ষার্থীকে আটকের অভিযোগ উঠে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার পুলিশ সেন্টারের বিরুদ্ধে। তারা হলেন- শাবির আর্কিটেকচার বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী রেজা নূর মুঈন ও সিএসই বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান।

এ বিষয়ে শাবিপ্রবির সাবেক শিক্ষার্থী শাহ রাজী সিদ্দিক গণমাধ্যমকে বলেন, 'আমি আর হাবিবুর রহমান গত প্রায় আড়াই বছর ধরে একসঙ্গে থাকি। তাকে সিআইডির লোকেরা গতরাতে উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টর এলাকা থেকে তুলে নিয়ে গেছে।' 

তিনি বলেন, 'সাবেক ছাত্র হিসেবে মাত্র ১০০০ টাকা আন্দোলনকারীদের ডোনেট করেছিলাম।'

শাহ রাজী সিদ্দিক আরও বলেন, তারা অসমর্থিত সূত্র থেকে খবর পেয়েছেন, জালালাবাদ থানায় এর আগে যে ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, সেই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হতে পারে।

তিনি বলেন, হাবিবের পারিবারিক অবস্থা ভালো নয়। মা-বাবা টাঙ্গাইলে থাকেন। গতকালই জার্মানিতে যাওয়ার ভিসা হয়েছে। সেখানকার একটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে চাকরি হয়েছে হাবিবের। অন্যদিকে, রেজার সন্তান খুবই ছোট। তাদের এভাবে তুলে নিয়ে যাওয়ার কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না তারা।

এদিকে সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান গণমাধ্যমকে বলেছেন, সিআইডি কাউকে গ্রেপ্তার করেনি।