শাহজালালে বিমানবন্দরে বসছে অ্যাকসেস কন্ট্রোল সিস্টেম, প্রবেশে লাগবে পাস

শাহজালালে বিমানবন্দরে বসছে অ্যাকসেস কন্ট্রোল সিস্টেম, প্রবেশে লাগবে পাস

রয়েল ভিউ ডেস্ক :
এবার বিমানবন্দরে অযাচিতভাবে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। এর ফলে বিমানবন্দরে টিকিট ছাড়া কোনো যাত্রী বা যাত্রীর সঙ্গে কেউ ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না। প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বসছে অ্যাকসেস কন্ট্রোল সিস্টেম। মে মাস থেকে এ ব্যবস্থাপনা পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা হবে বলে জানিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

এর ফলে বিমানবন্দরে অযাচিতভাবে প্রবেশ করার কোনো সুযোগ থাকবে না বলে মনে করছে সংস্থাটি।

বিমানবন্দরে এ ব্যবস্থা কার্যকর হলে টিকিট বা পাস ছাড়া কোনো যাত্রী বা যাত্রীর সঙ্গে কেউ এতে প্রবেশ করতে পারবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অ্যাকসেস কন্ট্রোল সিস্টেম চালু করতে এরই মধ্যে বিমানবন্দরের পাসবিধিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে মূলত সাময়িক ও দীর্ঘমেয়াদি দুই ধরনের পাস চালু করা হবে।

প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ হলো এমন একটি পদ্ধতি, যার মাধ্যমে অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় থাকা এলাকায় প্রবেশ করতে পারেন না। মূলত ওই এলাকায় একটি আধুনিক নিরাপত্তাবলয় তৈরি করা হয় এ নিরাপত্তাব্যবস্থার মাধ্যমে।

সাধারণত তিনভাবে এই নিরাপত্তাব্যবস্থা কাজ করে। পিন কোড বা পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে, স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে অথবা ফিঙ্গার প্রিন্ট বা বায়োমেট্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে। আর পুরো ব্যবস্থাটি নিয়ন্ত্রিত হয় কম্পিউটারের মাধ্যমে।

কোনো ব্যক্তি নিরাপত্তাবলয়ের মধ্যে থাকা এলাকায় অযাচিতভাবে প্রবেশ করতে চাইলে যন্ত্রের মাধ্যমে সেই ব্যক্তির ছবি তোলা এবং তার গতিবিধিও পর্যবেক্ষণ করা হয়। নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকলে নিরাপত্তা অ্যালার্মের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষকে সচেতনও করা যায় এ ব্যবস্থার মাধ্যমে।

এ বিষয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান বলেন, ‘এখানে প্রথমত নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার হবে। যে কেউ বিমানবন্দরে আর ঢুকতে পারবে না। বিমানবন্দরে ঢোকার জন্য অনেক সংস্থা বিভিন্নভাবে অনেক পাস সংগ্রহ করেছিল। আমরা নতুন বিধি করেছি, কারা পাস পাওয়ার যোগ্য, সেখানে বিভিন্ন ক্রাইটেরিয়া যুক্ত করা হয়েছে। নতুন নিয়মে শুধু তারাই বিমানবন্দরে বিচরণ করতে পারবে।

‘সাময়িক পাস এবং পার্মানেন্ট পাস- এগুলোর মধ্যে পার্থক্য থাকবে, এটা আন্তর্জাতিক মানসম্মত হবে। মূলত নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার আর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনাকে আরও গতিশীল ও আধুনিক করতে এটা করা হচ্ছে।’