স্বাস্থ্য তথ্য :যেভাবে কমাবেন পিঠের ব্যথা

স্বাস্থ্য তথ্য :যেভাবে কমাবেন পিঠের ব্যথা

ডেস্ক রিপোর্ট:
পিঠের দিকে যেসব মাসল, লিগামেন্ট, জয়েন্ট ও হাড় থাকে, তাদের কাজ যথাযথভাবে না হলেই ব্যথার মতো সমস্যা তৈরি হয়।

আর্থারাইটিস থাকলে কিংবা আঘাত পেলেও পিঠে ব্যথা অনুভব হতে পারে। চলুন জেনে নিই, এসব ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে কী করতে হবে।

ঠান্ডা-গরম সেক
প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে আইস প্যাক। দিনে দুই-তিনবার ২০ মিনিট করে ঠান্ডা সেক দিতে পারলে নিশ্চিতভাবে আরাম মিলবে। ধীরে ধীরে ব্যথা কমে এলে দিতে হবে গরম সেক। আশা করা যায় তাতে পুরোপুরিভাবে ব্যথা চলে যাবে।

স্ট্রেচিং
স্ট্রেচিং করলে পেশিতে রক্ত চলাচল বাড়ে। যোগব্যায়ামে খুব ভালো স্ট্রেচিং হয়। বাড়িতে থেকেই সাধারণ কিছু স্ট্রেচ করে দেখতে পারেন।

ঘুম থেকে ওঠার পর বিছানা ছাড়ার আগেই হাত দুটোকে টানটান করে মাথার ওপর তুলে দিন।

পায়ের পাতা ঠেলে যত দূরে পারেন নিয়ে যান। যতক্ষণ সম্ভব ধরে রাখুন। সোজা দাঁড়িয়ে হাত তুলে দিন মাথার ওপর, তারপর

ধীরে ধীরে নামিয়ে এনে পায়ের পাতা ছুঁয়ে দিন।

পা যেন না ভাঙে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। সর্বাঙ্গাসন, উষ্ট্রাসনও করতে পারেন।

সোজা হয়ে বসুন
চেয়ারে একেবারে পিঠ টানটান করে সোজা হয়ে বসতে হবে। সামনের দিকে ঝুঁকে বা কুঁজো হয়ে বসলে পিঠের ওপর বেশি চাপ পড়ে। তাতে ব্যথা হয়। সোজা হয়ে বসলে ব্যথা হওয়ার সুযোগ থাকে না।

জুতা বদলান
পিঠে ব্যথা হলে জুতা বদলে দেখতে পারেন। এটা সব সময় কাজ করবে ব্যাপারটা তা নয়। তবে ব্যথা কমলেও কমতে পারে।

যারা স্নিকার্স পরেন, তারা স্যান্ডেল পরে দেখতে পারেন। যারা স্যান্ডেল পরেন তারা স্নিকার্স নিন। টানা দুই-তিন দিন নতুন ধরনের জুতা ব্যবহার করে যদি আরাম মেলে, তা হলে বুঝতে হবে সেখানেই সমস্যাটা হচ্ছিল।

স্ট্রেস কম, ঘুম বেশি
স্ট্রেসের কারণেও শরীরের কোথাও কোথাও ব্যথা হতে পারে। তাই স্ট্রেস কমানো ও ঘুমের সময় বাড়ানোর ওপর জোর দিতে হবে।

বালিশ পরিবর্তন
বালিশের কারণে ঘাড়ে-পিঠে ব্যথার অনুভূতি হতে পারে। তাই এটা পাল্টে দেখুন, ব্যথা কমছে কি না।

শোয়ার অভ্যাস
সোজা হয়ে ঘুমালে পিঠে কোনো সমস্যা হয় না। যারা পাশ ফিরে শুতে অভ্যস্ত তারা কোলবালিশ ব্যবহার করুন।