সামাজিক গণমাধ্যমের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় পারিবারিক সচেতনতা বাড়াতে হবে 

সামাজিক গণমাধ্যমের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় পারিবারিক সচেতনতা বাড়াতে হবে 

ডাক ডেস্ক : জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) নুরুন নাহার হেনা বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে সামাজিক গণমাধ্যমের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। তবে, সাম্প্রতিক বিভিন্ন জরিপে তরুণ সমাজের ওপর সামাজিক গণমাধ্যমের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এই ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে পরিত্রাণের জন্য পারিবারিক পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। বাংলাদেশে গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান যত আয়োজন করা হবে, ততই এর উপকার মিলবে।
      

বুধবার জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুব সমাজের আসক্তি রোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি একথা বলেন। 
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) নুরুন নাহার হেনা-এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মনজুরুল আহসান বুলবুল। 
কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. আবু ইউছুফ, অ্যাডিশনাল এসপি (মিডিয়া), পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-(পিবিআই) হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকা। 

আলোচকবৃন্দ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মধ্যমে অতিমাত্রায় আসক্তির ফলে যুবসমাজের শারীরিক, মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে। সামাজিক গণমাধ্যমে অতি আসক্তির ফলে যুবসমাজের মূল্যবোধের অবক্ষয় আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। কর্মশালায় বক্তারা নৈতিক মূল্যাবোধের উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে গণমাধ্যমের আরো কার্যকর ভূমিকার ওপর গুরুত্বরোপ করেন।  
ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশি. অনু.) ড. মো. মারুফ নাওয়াজ-এর সঞ্চালনায় জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক মোহাম্মদ আবু সাদেক কর্মশালার পরিচালক, উপপরিচালক সুমনা পারভীন ও সহকারী পরিচালক সাইফুন্নাহার কর্মশালার সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন।