সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাংস্কৃতিক সমাবেশ

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাংস্কৃতিক সমাবেশ

কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও শান্তি সম্প্রীতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্য নিয়ে ‘সাংস্কৃতিক জাগরণ ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ চাই’ শিরোনামে সমাবেশের আয়োজন করেছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেট। 

আজ শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক  জোট সিলেটের  সহ সভাপতি রানা কুমার সিনহার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তীর  সঞ্চালনায় সমাবেশে অংশ নেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ নুরুল ইসলাম,অধ্যাপক হিমাদ্রী শেখর রায় শাবিপ্রবি,মোকাদ্দেস বাবুল সভাপতি মন্ডলীর সদস্য বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ,  বিশিষ্ট সাংবাদিক আল আজাদ,সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য শামসুল আলম সেলিম ,সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, সাংস্কৃতিক  ব্যক্তিত্ব আমিরুল ইসলাম বাবু
, নাট্য সংগঠল নিরঞ্জন দে যাদু, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সহ সভাপতি উজ্জ্বল দাশ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহ সভাপতি বিধু ভূষণ ভট্টাচার্য,সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শামসুল বাসিত শেরো, সুরাইয়া জামান, সাংস্কৃতিক সংগঠক বিপ্লব শ্যাম পুরকায়স্থ, নাট্যব্যক্তিত্ব নীলাঞ্জন দাশ টুকু, আবৃত্তিশিল্পী ও সংগঠক সুকান্ত গুপ্ত, সংগীতশিল্পী খোকন ফকির, ইকবাল সাই, আশরাফুল ইসলাম অনি, সংগঠন সুমন্ত গুপ্ত, আবৃত্তিশিল্পী সৈয়দ সাইমুম আনজুম ইভান, অমিত ত্রিবেদী, ধ্রুব জ্যেতি দে,শংকর ধর,সীমা রানী সরকার প্রমুখ।
সাংস্কৃতিক সমাবেশে বক্তারা বলেন-আজকে দেশে সম্প্রীতি নেই। 'সাম্প্রদায়িক কারণে, শ্রেণিবৈষম্যের কারণে আবার জাতিগোষ্ঠীর নামে সম্প্রীতি নষ্ট হচ্ছে। সম্প্রীতিকে যদি ফিরিয়ে আনতে হয় তাহলে ৭২ এর পূর্ণ বাস্তবায়ন ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। এই সমাবেশ থেকে আমরা ৭২ এর সংবিধানের পূর্ণ বাস্তবায়ন চাই।'
বক্তারা আরো বলেন 'ভাষাভিত্তিক ও সংস্কৃতি ভিত্তিক জাতীয়তাবাদ সেই জাতিসত্তার যে সংস্কৃতি সেখানে একটি ঘাটতি হয়ে গেছে। কিন্তু ধর্মভিত্তিক সাংস্কৃতিক জাগরণ ঘটেছে কারণ তাদের জন্য বিভিন্ন সহযোগিতা সমাজে এবং রাষ্ট্রে রয়েছে। তাদের এই আধিপত্যের কারণে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সেটি বাধাগ্রস্ত হয়েছে। যার জন্যই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়েছে। সংস্কৃতির চর্চা একেবারে কমে এসেছে।'
 যে সংস্কৃতির উত্থান এখন আমাদের দেশে ঘটেছে সেটি হিংসা, ধ্বংস, হত্যার সংস্কৃতি। তার বিপরীতে আমাদের দরকার ভালোবাসা, প্রেম এবং সম্প্রীতির সংস্কৃতি। আমরা সেটি প্রতিষ্ঠা করতে চাই। তার জন্য আমাদের দরকার প্রত্যাখ্যানের সংস্কৃতি।প্রত্যাখ্যানের সংস্কৃতিতে না আসলে সমাজ বদলানো যাবে না। খারাপ যা কিছু আছে তা আমাদের প্রত্যাখ্যান করতে হবে। ধর্মের নামে অন্য ধর্মের ওপর যে নিপীড়ন চলে সেটিকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে। প্রত্যাখ্যান করে সাংস্কৃতিক আন্দোলন করতে হবে।'-বিজ্ঞপ্তি