সিলেট-তামাবিল-জাফলং সড়কে ভাঙন, দুর্ঘটনার আশংঙ্কা

সিলেট-তামাবিল-জাফলং সড়কে ভাঙন, দুর্ঘটনার আশংঙ্কা

জৈন্তাপুর সংবাদদাতা : সিলেট-তামাবিল-জাফলং মহাসড়কের জৈন্তাপুর উপজেলার সারীঘাট ব্রিজ সংলগ্ন দক্ষিণ অংশে রাস্তার একাংশ নদীগর্ভে চলে গেছে। রাস্তার অন্তত ১শ’ মিটার জুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে, যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এলাকাবাসীর অভিযোগ অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে এই ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। ঝুঁকিতে পড়েছে গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়ক। 

স্থানীয়রা জানান, সিলেট-তামাবিল-জাফলং মহাসড়কের সারীঘাট ব্রিজের পশ্চিম অংশে পুড়াখাই নদী। একটি চক্র ব্রিজের নিচ থেকে গভীর গর্ত খনন করে বালু উত্তোলন করেছে। বালু উত্তোলনের সময় এলাকার সচেতন মহল বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও সড়ক ও জনপথ বিভাগকে অবহিত করেন। অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে ব্রিজের পার্শ্ববর্তী এলাকা অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। স্থানীয় জনগণের অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিপামনি দেবী সরেজমিনে পরিদর্শন করে বালু উত্তোলন বন্ধ করেন। পরবর্তীতে পুনরায় বালু উত্তোলন শুরু করা হয়। অভিযোগ রয়েছে বিষয়টি নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ তখন বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। 

অন্যদিকে, অতি ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তার পূর্বপাশে দুটি দোকান রয়েছে। ওই দোকানের সামনে প্রতিদিন ট্রাকসহ বিভিন্ন গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। ফলে সড়কের পশ্চিম অংশ দিয়ে লোড গাড়ি যাতায়াত করে। এতে পুড়াখাই নদীর পাড় আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সারী নদীর পানি পুড়াখাই নদী দিয়ে উল্টো প্রবেশ করার কারণে রাস্তায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে হঠাৎ করে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের পুড়াখাই নদী সংলগ্ন অন্তত ১শ’ মিটার সড়কের গার্ড ওয়ালসহ ভেঙ্গে নদীগর্ভে চলে যায়। সড়কের আরো অনেক জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। ভাঙনের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সড়ক ও জনপথ বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ। তারা রাস্তার ভাঙন রোধ করতে বাঁশের খুঁটি পুঁতে বেড়া দেয়ার ব্যবস্থা করেন। খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল আহমদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল বশিরুল ইসলামও সড়কের ভাঙন পরিদর্শন করেন। 
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে রাস্তার ভাঙন অংশে বাশেঁর খুঁটি দিয়ে মেরামত করা হয়েছে। স্থায়ীভাবে সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে।