সিলেটে সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট !

কৃত্রিম সংকট !
রয়েল ভিউ ডেস্ক ॥ সিলেটে সয়াবিন তেলের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এক শ্রেণির মুনাফালোভী ব্যবসায়ী সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছেন। গতকাল সোমবার অনেক দোকানে খোঁজ করেও সয়াবিন তেল মেলেনি। আবার কিছু কিছু দোকানে তেল বিক্রি হয়েছে চড়ামূল্যে। 

গতকাল সোমবার নগরীর কাজীটুলা এলাকার একটি সুপারশপে সয়াবিন তেল কিনতে যান জনৈক ক্রেতা। দোকানে সয়াবিন তেল নেই বলে সরাসরি জানিয়ে দেয়া হয়। তবে, দোকানে পাম অয়েল রয়েছে বলে জানানো হয়। 

এ অবস্থায় সয়াবিন তেলের বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে জেলার তেল ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে এক জরুরি মতবিনিময় ও অবহিতকরণ সভা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টায় সিলেটের প্রধান পাইকারী ও খুচরা বাজার কালীঘাট এলাকার ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সিলেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জিয়াউল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম মাসুদ ও শ্যামল পুরকায়স্থ। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সিলেট চেম্বার অব কমার্সের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফালাহ্উদ্দিন আলী আহমদ, সিলেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ও সিলেট জেলার বিভিন্ন ব্রান্ডের তেলের ডিলার, ডিস্ট্রিবিউটর এবং ডিপো ইনচার্জবৃন্দ। 
সভায় উপস্থিত অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববাজারে তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের তেলের বাজারে একটি অস্থায়ী সংকট তৈরি হলেও সরকার নতুন করে দাম নির্ধারণ করে দেয়ায় এখন আর এ সংকট নেই। তিনি বলেন, কোম্পানিগুলো এখন পর্যাপ্ত পরিমাণে তেল সরবরাহ করছে এবং সিলেটের ডিপোগুলোতে পর্যাপ্ত তেল রয়েছে। তিনি ব্যবসয়ীদের আতঙ্কিত না হয়ে তেল অর্ডার করে তা খুচরা বাজারে সরবরাহ করার জন্য আহবান জানান। এ সময় তিনি সিলেটের বিভিন্ন ব্রান্ডের তেলের ডিপোগুলোকে যথাসময়ে অর্ডার অনুসারে তেল সরবরাহ নিশ্চিত করতে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়া তিনি আরো বলেন, কোন ব্যবসায়ী যদি অধিক মুনাফার আশায় তেল মজুদ করে রেখে থাকেন; তারা যেন তা অবিলম্বে বাজারে বিক্রির ব্যবস্থা করেন। অন্যথায় কারো বিরুদ্ধে তেল মজুতের প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সভায় উপস্থিত ব্যবসায়ীরা যথাসময়ে অর্ডারকৃত তেল ডিপো থেকে সরবরাহ করা হয় না বলে দাবি করলে ডিপোগুলোর পক্ষ থেকে তেল সরবারাহে আর কোন ধরনের বিঘ্ন হবে না বলেও প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। সভায় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ চলতি সপ্তহের মধ্যেই ভোজ্য তেলের বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, ভোজ্য তেলের বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে ভোক্তা অধিদপ্তরের বিভিন্ন উদ্যোগের প্রতি সমর্থন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তারা।