সিলেটে ২ দিনব্যাপী ইজতেমা ১৭ ও ১৮ নভেম্বর, প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে

সিলেটে ২ দিনব্যাপী ইজতেমা ১৭ ও ১৮ নভেম্বর, প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে

সিলেটে আগামী ১৭ ও ১৮ নভেম্বর বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুই দিনব্যাপী ইজতেমার আয়োজন করেছে ‘আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’। সংগঠনের ৭৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য ব্যাপক প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। ১৩ নভেম্বর রবিবার বিকাল পর্যন্ত দক্ষিণ সুরমার পারাইরচকস্থ কেন্দ্রীয় ট্রাক টার্মিনাল মাঠের প্যান্ডেল তৈরির কাজ প্রায় ৮০ ভাগ সমাপ্ত হয়েছে। যা সব সময় তদারকি করছেন আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ। আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা শাব্বীর আহমদ ফতেহপুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উপমহাদেশের প্রখ্যাত বুজুর্গ শাইখুল ইসলাম আল্লামা লুৎফুর রহমান বর্ণভী (রাহ.) প্রতিষ্ঠিত অরাজনৈতিক সংগঠন ‘আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’র এই ইজতেমায় লক্ষাধিক মুসল্লির সমাগম ঘটবে বলে আশা করেছেন আয়োজকরা। এতে দেশ-বিদেশের প্রখ্যাত ও মুরুব্বি আলেম এবং দ্বিনের দা’ঈরা নসিহত (আলোচনা) করবেন।
দক্ষিণ সুরমার পারাইরচকস্থ সিলেট কেন্দ্রীয় ট্রাক টার্মিনালে বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) ফজরের নামাজের পরপরই শুরু হবে এ ইজতেমা। প্রতিদিন রাত ১২টা থেকে জিকির-আজকার এবং তাহাজ্জুদ ও  আমীরে আঞ্জুমানের মোনাজাত হবে। (১৮ নভেম্বর) বাদ জুম্মা সংগঠনের আমির মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ রশিদুর রহমান ফারুক বর্ণভীর আখেরি মুনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শেষ হবে।

মাওলানা শাব্বীর আহমদ বলেন, ‘১৯৪৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এ সংগঠনের ছয় দফা কর্মসূচি হচ্ছে- ইসলামের দাওয়াত, সংগঠন, সুশিক্ষা, আত্মশুদ্ধি, সৃষ্টিজগতের সেবা, সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজে নিষেধ করা।’
তিনি আরও জানান, এসব বিষয়কে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কাজ করে যাচ্ছে ‘আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’। পথচলার ৭৭ বছর পূর্তিতে সিলেটে দুই দিনব্যাপী ইজতেমার আয়োজন করতে যাচ্ছে সংগঠনটি। এরই মধ্যে অনুষ্ঠানস্থল সাজানো, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, আগত মুসল্লিদের থাকা-খাওয়া ও সব সুযোগ-সুবিধাসহ প্রায় ৯০ ভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ইজতেমায় লক্ষাধিক মুসল্লি জমায়েত হওয়ার আশা করা যাচ্ছে।
শাব্বীর আহমদ আরও বলেন- ‘প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ‘আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’ বর্তমানে দেশের পাশাপাশি বিদেশেও সংগঠনের কার্যক্রম চালু রেখেছে। দেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করতে সোনার মানুষ গড়তে কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি। এ মহৎ কাজের ধারাবাহিকতায় সবসময় অব্যাহত থাকবে।’ তিনি অরাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠনটির লক্ষ্য উদ্দেশ্য ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে সবার সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন। বিজপ্তি