সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইনকাঠামো যথেষ্ট  ইইউ প্রতিনিধিদলকে জানালেন আইনসচিব

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইনকাঠামো যথেষ্ট  ইইউ প্রতিনিধিদলকে জানালেন আইনসচিব


রয়েল ভিউ ডেস্ক: সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিদ্যমান আইনি কাঠামো ‘যথেষ্ট’ বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদলকে জানিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার। বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে আইনসচিবের সঙ্গে দেখা করে ইইউ প্রতিনিধিদল।
পরে বৈঠকের বিষয়বস্তু সাংবাদিকদের জানান সচিব। তবে, ইইউ প্রতিনিধিদল সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেনি। এর আগে বুধবার প্রতিনিধিদলটি তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে। 

আইন ও বিচার বিভাগের সচিব গোলাম সারওয়ার বলেন, ‘ইইউ প্রতিনিধিদল জানতে চেয়েছে, আইনি কাঠামো যেটি আছে, তা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট কি না। আমরা বলেছি যে আইনি কাঠামো যা আছে, তা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট।’ এ সময় আরপিওর কয়েকটি ধারার কথা তুলে ধরে সচিব বলেন, তারা সন্তুষ্ট হয়েছেন।

আইনসচিব গোলাম সারওয়ার বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনার নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে আইন করা হয়েছে, তা উপমহাদেশে আর নেই। তাদের বাছাই করার জন্য অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন প্রধান বিচারপতির মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি। এ ছাড়া সদস্য হিসেবে ছিলেন হাইকোর্টের একজন বিচারপতি, মহা হিসাব নিরীক্ষক, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান ও সুশীল সমাজের দু’জন বিশিষ্ট ব্যক্তি। তারা (ইইউ) খুশি হয়েছে।
দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে আইন সচিব বলেন, এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
নির্বাচনের সময় জুডিশিয়াল সার্ভিসের বিচারক ও কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালন করার প্রসঙ্গ তুলে ধরে সচিব বলেন, যখন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়, তখন একজন যুগ্ম জেলা জজের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তফসিলের দিন থেকে ফলাফলের গেজেট প্রকাশ পর্যন্ত কমিটি দায়িত্ব পালন করে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন নিয়ে যদি কোনো ধরনের অনিয়ম বা এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে তারা (কমিটি) প্রতিবেদন তৈরি করে নির্বাচন কমিশনের কাছে দেয়। তখন সে অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিতে পারে।
এ ছাড়া, নির্বাচন কমিশন বিচারিক কর্মকর্তার জন্য চাহিদা দিলে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ নিয়ে বিচারিক কর্মকর্তাদের নির্বাচন কমিশনে ন্যস্ত করা হয় বলে জানান সচিব। 
তিনি বলেন, তখন তারা সবকিছুই করেন নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে। বিচারিক কর্মকর্তা ভোট গ্রহণের দিন এবং আগের দুই দিন ও পরের দুই দিন মিলিয়ে মোট পাঁচ দিন দায়িত্ব পালন করেন। তখন তারা সামারি ট্রায়াল করে আরপিও অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এটিও তারা (ইইউ) অ্যাপ্রিশিয়েট করেছে।