হবিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বিএনপির ২৫জন আহত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই হবিগঞ্জ শহরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ৭ পুলিশ সদস্যসহ ২৫ জন আহত হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত আটটার দিকে শহরের শায়েস্তানগর কবরস্থান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রায় আধা ঘণ্টা সংঘর্ষ চলাকালে দু’টি প্রাইভেট কারসহ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, তফসিল ঘোষণার পরপরই বিএনপির নেতা-কর্মীরা হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর কবরস্থান এলাকায় জড়ো হয় এবং বিক্ষোভ শুরু করে। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। রাত আটটার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। আধা ঘণ্টা ধরে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ কয়েকটি কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এতে ৭ পুলিশ সদস্যসহ ২৫ জন আহত হয়। পরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে।

এদিকে ওই সংঘর্ষের আধা ঘণ্টা আগে শহরের টাউন হল এলাকায় বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। পাশাপাশি প্রাইভেট কারসহ বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে যানবাহন ভাঙচুরকারীরা পালিয়ে যায়। পুলিশের পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য আবু জাহিরের নেতৃত্বে দলের নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসে। তাঁরা শহরের প্রধান সড়কের ওপর পথসভা করে। এ সময় শহরের প্রধান সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব জানান, বিএনপির নেতা-কর্মীরা শহরে তিন-চারটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। পুলিশের ওপর ইটপাকেল নিক্ষেপ করেছে। এতে সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ছাড়া শহরের টাউন মসজিদ এলাকায় আকস্মিক হামলা করে তিনটি ইজিবাইকসহ আরও কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। হামলাকারীরা আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।