১৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিল সম্পন্ন

১৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিল সম্পন্ন

শুয়েব সভাপতি, রাসেল সাধারণ সম্পাদক

রয়েল ভিউ ডেস্ক:

সিলেট মহানগর বিএনপির অন্তর্ভুক্ত ১৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিল গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় স্হানীয় এক কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নুরুল আলম সিদ্দিকী খালেদ ও নির্বাচন কমিশনার এড. ওবায়দুর রহমান ফাহমির যৌথ পরিচালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় স্হায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

১৫নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক ইফতেখার আহমদ সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। সম্মেলন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন সিলেট মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতাহ্ সিদ্দিকী, সাবেক জেলা সভাপতি আবুল কাহের শামীম, সাবেক মহানগর সভাপতি নাসিম হোসাইন, ১৩,১৪,১৫নং ওয়ার্ডের টিম লিডার মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জিয়াউল গণি আরেফিন জিল্লুর, সদস্য নজিবুর রহমান নজিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এড আতিকুর রহমান সাবু, নির্বাচন কমিশনার এড আব্দুল্লাহ।

অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম আহবায়ক কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীম, যুগ্ম আহবায়ক সালেহ আহমদ খসরু, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ইশতিয়াক সিদ্দিকী, ১৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি তারেক আহমদ খান, ১৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নাদির খান, ২১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি খায়ের আহমদ, ২৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নাজিম আহমদ, জেলা যুবদলের সভাপতি এড মোমিনুল ইসলাম মোমিন, মহানগর যুবদলের সভাপতি শাহ নেওয়াজ বক্ত চৌধুরী তারেক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল আহাদ খান জামাল, সাবেক আহবায়ক আব্দুল ওয়াহিদ সোহেল, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আহমদ সহ জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দ, ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং ১৫নং ওয়ার্ডের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমির খসরু বলেন, এখন আর বিএনপির সমাবেশে শুধু বিএনপির কর্মীরা নয়,সর্বস্তরের জনগণ উপস্থিত থাকে। কারণ এই আওয়ামী সরকার লুটপাট করে মানুষের সাধারণ জীবনযাত্রাকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। এর থেকে মুক্তির একটাই পথ এই সরকারের পতন।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে খন্দকার মুক্তাদির বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, আগামীর দেশনায়ক তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন এবং সরকারের পতন আন্দোলনকে তরান্বিত করতে আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকার মহাসমাবেশে সবাইকে যোগদান করতে হবে।

সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচন করা হয়। কাউন্সিলে ৭টি পাড়া কমিটির ৭৭জন ভোটার ভোট প্রদান করেন। নির্বাচন পরিচালনা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. আতিকুর রহমান শাবু। তাকে সহযোগিতা করেন নির্বাচন কমিশনার এড. ওবায়দুর রহমান ফাহমি ও এড. আব্দুল্লাহ।

নির্বাচনে ৬০ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন শুয়াইব আহমদ শুয়েব, তার প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ মোঃ ইলিয়াস আলী পেয়েছেন ১৭ ভোট। ৩৯ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ আব্দুস সবুর রাসেল। তার প্রতিদ্বন্দ্বী শাহিন আহমদ পেয়েছেন ৩৮ ভোট। আর পাবেল আহমদ ৩৫ ভোট পেয়ে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পান্না লাল রুপম পেয়েছেন ২৫ ভোট। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী সাজ্জাদ আহমদ পেয়েছেন ১৭ ভোট।
ভোট গননা শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন সিলেট মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী।