২০ বছর ধরে জীবন্ত গাছে বিদ্যুতের ঝূঁকিপূর্ণ সংযোগ

২০ বছর ধরে জীবন্ত গাছে বিদ্যুতের ঝূঁকিপূর্ণ সংযোগ

রয়েল ভিউ ডেস্ক :
খুঁটির বদলে বাঁশ, মরা গাছ আবার কোথাও জীবন্ত গাছেই টানানো হয়েছে পিডিবি’র বিদ্যুৎ সংযোগ লাইন। ঝুঁকিপূর্ণ এসব লাইন কোথাও হাতের নাগালে বিপদসীমার কাছাকাছি। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। পিডিবি কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের গিরিশনগর গ্রামে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, গিরিশনগর গ্রামের ফায়জুর রহমানের বাড়ির পাশ থেকে শুরু করে এখলাস ফরাজির পুকুরপাড় হয়ে আশপাশের প্রতিটি বাড়িতে বাঁশ, মরা ও জীবন্ত গাছের নড়বড়ে খুঁটিতেই টু-টুয়েন্টি বিদ্যুৎ সংযোগ লাইন নেওয়া হয়েছে। অনেক জায়গায় হাতের নাগালেই ঝুঁলছে বিদ্যুতের লাইন।
স্থানীয়রা জানান, গ্রামে প্রায় ৫০ জন বৈধ মিটারধারী গ্রাহক রয়েছেন। সরকারি ভ্যাটসহ নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করলেও পর্যাপ্ত সুবিধা পাচ্ছেন না তারা। দীর্ঘদিন ধরে সরকারি খুঁটির দাবি জানালেও শুধু দায়সারা আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ থাকে। ফলে প্রয়োজনের তাগিদে গ্রাহকরা নিজ ব্যয়ে খুঁটি বানিয়ে বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নেন। আবার আর্থিক দৈন্যদশায় অনেকে বাঁশ ও জীবন্ত গাছের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে বাধ্য হন।
গ্রাহক এখলাস ফরাজী বলেন, ‘বিদ্যুৎ অফিসের সাথে যোগাযোগ করতে করতে আমরা হয়রান। কেউ নিজের টাকায় পিলার বানিয়ে, কেউ বাঁশ দিয়ে আবার কেউ গাছে করে বিদ্যুৎ নিয়েছি। ২০ বছর ধরে আমরা একই অবস্থায় আছি। আমাদের এ দূরাবস্থায় বিদ্যুৎ অফিসের কোনো মাথাব্যথা নেই।
পিডিবি’র স্থানীয় লাইনম্যান ঈসমাইল মিয়া বলেন, আমি যোগদানের পূর্ব থেকেই এখানে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষই ভালো জানেন।
বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ ছাতকের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্ল¬াহ আল মামুন সর্দার বলেন, আমি বিষয়টি দেখব। অফিসের লোক পাঠিয়ে এব্যাপারে খোঁজ নেব।