ইজতেমা ময়দানে মুসল্লির ঢল, প্রথম পর্ব শুরু কাল

ইজতেমা ময়দানে মুসল্লির ঢল, প্রথম পর্ব শুরু কাল

রয়েল ভিউ ডেস্ক:
করোনা মহামারির কারণে দুই বছর বন্ধ ছিল বিশ্ব ইজতেমা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় এ বছর আবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে মুসলিমদের দ্বিতীয় বৃহৎ এই ধর্মীয় জমায়েত। গাজীপুরের টঙ্গীতে তুরাগ নদের তীরে আগামীকাল শুক্রবার বাদ ফজর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। আলমি শ‌ুরার তত্ত্বাবধানে (জুবায়েরপন্থি) ১৩, ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি এবং সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা ২০, ২১ ও ২২ জানুয়ারি ইজতেমা পালন করবেন।

ইজতেমায় অংশ নেওয়ার জন্য গত মঙ্গলবার বিকেল থেকেই মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠে প্রবেশ করছেন। গতকাল বুধবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠের চারপাশের ১৩টি প্রবেশপথ দিয়ে মুসল্লিরা বাসে, ট্রাকে ও হেঁটে প্রবেশ করছেন। নিজ জেলা থেকে দলবদ্ধভাবে ময়দানে প্রবেশ করছেন মুসল্লিরা। মাঠে প্রবেশের পর তাঁরা তাঁদের নির্ধারিত (খিত্তা) জায়গায় অবস্থান নিচ্ছেন।

শেরপুরের নালিতাবাড়ী থেকে ৩৮ জন সাথি নিয়ে ইজতেমা ময়দানে এসেছেন ইউসুফ আলী (আমির)। অবস্থান নিয়েছেন নিজেদের খিত্তায়। ইউসুফ আলী বলেন, ‘দুই বছর পর ইজতেমা শুরু হয়েছে। তাই দুই দিন আগেই সাথিদের নিয়ে ময়দানে চলে এসেছি। ময়দানে পৌঁছাতে পেরে খুবই ভাগ্যবান মনে হচ্ছে।’

ইজতেমা আয়োজক কমিটির গণমাধ্যম সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা জহির ইবনে মুসলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই বছর পর ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইজতেমা শুরুর প্রায় তিন দিন আগে থেকেই মুসল্লিরা মাঠে প্রবেশ করে নিজেদের খিত্তায় অবস্থান নিচ্ছেন। এবারের আসরে অধিক মুসল্লির সমাগম ঘটবে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলেই ময়দান কানায় কানায় ভরে উঠবে বলে আশা করছি।’

১৫ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে প্রথম পর্বে ইজতেমা শেষ হবে। মাঝে চার দিনের বিরতি দিয়ে ২০ জানুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব। ২২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এবারের বিশ্ব ইজতেমার দুই পর্বের সমাপ্তি হবে।

ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য গতকাল বুধবার সকালে ইজতেমা ময়দান পরিদর্শন করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এবারে ইজতেমা বাস্তবায়নে পুলিশের পাশাপাশি গাজীপুর সিটি করপোরেশন, গাজীপুর জেলা প্রশাসক, গাজীপুর স্বাস্থ্য বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগ কাজ করছে। ইজতেমা ময়দানে নিরাপত্তায় পোশাকি পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাব, সিআইডিসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা কাজ করছেন। ময়দানে ৯১টি খিত্তায় সাদাপোশাকে পুলিশ অবস্থান করবে। তা ছাড়া আকাশপথে র‍্যাবের হেলিকপ্টার থাকছে। নদীপথে নৌ পুলিশের টহল রয়েছে। ইজতেমায় আগত বিদেশি পর্যটনদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (ট্যুরিস্ট) হাবিবুর রহমান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তায় পুলিশ ও র‍্যাবের পক্ষ থেকে ময়দান ও তার আশপাশে ৩০০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।