আজমিরীগঞ্জ পাহাড়পুর রাস্তার বেহাল দশা
আজমিরীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে মো. আবু হেনা : আজমিরীগঞ্জ-পাহাড়পুর সড়ক খানাখন্দে ভরে গেছে। এ কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। খানাখন্দ থাকায় প্রতিনিয়ত তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম রাস্তা দিয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নের মানুষ উপজেলা সদরসহ জেলা সদর হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচল করেন।
জানা যায়, আজমিরীগঞ্জ মুন সিনেমা হল সংলগ্ন পাহাড়পুর রোডে ২ কিলোমিটার পর থেকে বদলপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার সড়ক। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বাস, সিএনজি অটোরিক্সাসহ ব্যাটারী চালিত যানবাহন উপজেলা সদরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচল করে। কিন্তু সড়কটি কয়েক বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে বেহাল অবস্থায় সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে ঢালাই ওঠে পাথরের খোয়া ও বিভিন্ন অংশে রড বের হয়ে আছে। এতে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে বৃষ্টি হলেই গর্তের মধ্যে জমে থাকা পানিতে পড়ে ছোট ছোট যানবাহন ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে।
ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা (মিশুক) চালক কুদরত আলী জানান, এ রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়তই হিলালপুর, পিরিছপুর, বদলপুর ও পাহাড়পুর বাজারে যাত্রী নিয়ে আসা যাওয়া করতে হয়। রাস্তাটি ভাঙাচোরা ও খানাখন্দের কারণে চলাচল করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে। এছাড়া প্রায়ই তাদের যানবাহনের যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে যাচ্ছে।
আজমিরীগঞ্জ উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নের বিদ্যুৎ দাস জানান, গত কয়েকদিন আগে তার স্ত্রীর প্রসব ব্যথা উঠলে সিজার অপারেশনের জন্য কাটাখালি গ্রাম থেকে একটি ব্যাটারী চালিত (টমটম) যোগে উপজেলা সদরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে যাচ্ছিলেন, ভাঙাচোরা রাস্তায় ঝাঁকুনির কারণে ওই প্রসুতি আরো দুর্বল হয়ে পড়েন।
আজমিরীগঞ্জ উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী তানজির উল্লাহ সিদ্দিকি জানান, আজমিরীগঞ্জ-পাহাড়পুর রোডে গত কিছুদিন পূর্বে শুন্য চেইনেজ থেকে ২ হাজার মিটার রাস্তার সংস্কার করা হয়েছে। বাকী ৬ হাজার ছয়শ’ মিটার ভাঙা রাস্তার মেরামতের জন্য জিওবি মেইনটেনেন্সের আওতায় ২ কোটি ২০ লাখ টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে।