‘এ্যাহন লাশটা আনার কথা হুইননা মনডায় শান্তি পাচ্ছি’
![‘এ্যাহন লাশটা আনার কথা হুইননা মনডায় শান্তি পাচ্ছি’](https://www.royalview24.com/uploads/images/2022/03/image_750x_6229ebfb52647.jpg)
রয়েল ভিউ ডেস্ক:
‘জাহাজে থাকা ওরা (নাবিকরা) সবাই দেশে ফিরে যে যার মা-বাবার কোলে ফিরে গেছে। কিন্ত ফিরল না আমার বাবা। তয় এ্যাহন লাশটা আনার কথা হুইন না মনডায় শান্তি পাচ্ছি।’ ইউক্রেনে হামলায় নিহত বাংলাদেশি প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান আরিফের মা আমেনা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে এভাবেই আক্ষেপ ও সান্ত্বনার কথা ব্যক্ত করেন।
হাদিসুরের মরদেহ দেশে আনার সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ও প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) অথবা যেকোন সময় লাশ দেশে পৌঁছতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
নিহত হাদিসুর রহমান আরিফ (৩৪) বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে। গত ২ মার্চ ইউক্রেনে হামলায় প্রাণ হারান তিনি।
হাদিসুর রহমান আরিফ
হাদিসুর রহমান আরিফের মা আমেনা বেগম আরও বলেন, ‘সরকার যদি আগেই সবাইরে (ইউক্রেনে আটকে পড়া ক্রু) ফিরাইয়া আনত, তাহলে আমার বাপটারে মরা লাগত না। কষ্টে বুকটা ফাইট্টা যাইতাছে, সরকার কি এসব দেখে না? আমি আমার পোলার লাশটা চাই।’
হাদিসুরের ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স বলেন, ‘জীবিত নাবিকদের সঙ্গে আমরা এখন ভাইয়ার লাশটা পাওয়ার আশায় অপেক্ষায়। দ্রুত ভাইয়ার লাশ ফেরত আসবে আশা করি।’
২৪ ফেরুয়ারি ২৯ জন নাবিক ও প্রকৌশলী নিয়ে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকা পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধি। এরপর ২ মার্চ রাতে জাহাজটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এতে জাহাজে কর্মরত থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান আরিফ নিহত হন। পরে বাকি নাবিকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। ঘটনার ৬ দিন পর বুধবার টার্কি এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে দেশে ফেরেন বাংলার সমৃদ্ধির ২৮ জন স্টাফ ।