সিলেট বিভাগের নানা আসনে স্বতন্ত্র ফ্যাক্টর
এনামুল হক রেনু :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশের ন্যায় সিলেট বিভাগের ১৯ আসনেও থেমে নেই আলোচনা, বিশ্লেষণ। বিএনপিসহ কিছু দল নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় নির্বাচন হবে কি-না এ নিয়ে সর্বত্র ছিল নানা গুঞ্জন ও জল্পনা-কল্পনা। কিন্তু সবকিছুর অবসান ঘটিয়ে অবশেষে হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে কারা বিজয়ী হতে যাচ্ছেন?- রাত পেরুলেই ভোটাররা গোপন ব্যালটে তা নির্ধারন করবেন। এজন্য রোববার রাত পর্যন্ত থাকতে হবে অপেক্ষায়।
গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শেষ হলেও শেষ মুহুর্তে বসে নেই প্রার্থী ও সমর্থকরা। পৌষের কনকনে হিমেল হাওয়া উপেক্ষা করে তারা ছুঁটছেন ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে। নিজেদের পক্ষে ভোটারদের টানতে নিচ্ছেন নানা কৌশল।
এদিকে, সিলেট বিভাগে হেভিওয়েট প্রার্থীদের অনেকে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকলেও কিছু আসনে চমকপ্রদ কিছু ঘটতে পারে বলে নানা মহলে চলছে আলোচনা। বেশিরভাগ আসনে আওয়ামী লীগের মূল প্রতিদ্বন্দি¦ প্রার্থী হচ্ছেন নিজেদের লোকই। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে কয়েকজন আছেন যারা আওয়ামী লীগ ঘরনার নন, তারাও উঠে এসেছেন আলোচনায়। মাঠপর্যায়ে সিলেট বিভাগের ১৯ আসনে ভোটারদের শেষ মূহুর্তের মতামত নিয়ে উঠে এসেছে নানা তথ্য।
সিলেট-১ (মহানগর-সদর) : দেশের নির্বাচনী ইতিহাসে সিলেট-১ আসন হচ্ছে মর্যাদাপূর্ণ আসন। প্রচলিত একটি মিথ রয়েছে নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে যারা জিতবে তারাই সরকার গঠন করবে। ১৯৯১ সাল থেকে শুরু করে ২০০৮ সাল পর্যন্ত প্রতিটি নির্বাচনে এই আসনে যারা জিতেছে তারাই দেশ শাসন করেছে। একই ধারা অব্যাহত ছিল ২০১৪ ও ১৮ সালের নির্বাচনেও। এই আসন থেকে এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলে এখন সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আসনটিতে ইসলামী ঐক্যজোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, বাংলাদেশ কংগ্রেস, জাকের পার্টি ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) : এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শফিকুর রহমান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানের মধ্যে ত্রিমুখী লড়াইয়ে এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী--ভোটারদের সাথে আলাপ করে এমন আভাস পাওয়া গেছে। এ আসনে গণফোরাম মনোনীত বর্তমান সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানসহ ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশ কংগ্রেস, জাকের পার্টি, তৃণমূল বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মাঠে আছেন।
সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা-ফেঞ্চুগঞ্জ-বালাগঞ্জ) : সিলেট-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলালের মধ্যে হতে পারে লড়াই। তবে, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিকও লড়াইয়ে উঠে আসতে পারেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। এছাড়া আসনটিতে ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ও আরো দুইজন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন।
সিলেট-৪ (জৈন্তাপুর-গোয়াইনঘাট-কোম্পানীগঞ্জ) : এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ইমরান আহমদ বর্তমান সংসদ সদস্য ও সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি এবারও ভাল অবস্থানে রয়েছেন। এই আসনে তৃণমূল বিএনপির আবুল হোসেন ছাড়াও ইসলামী ঐক্যজোট ও জাকের পার্টির প্রার্থীরা আছেন।
সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ-কানাইঘাট) : সিলেট-৫ এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ। এ আসনে আনজুমানে আল ইসলাহর কেন্দ্রীয় সভাপতি হুছামুদ্দীন চৌধুরীর জয়ের সম্ভাবনা দেখছেন তার সমর্থকরা। জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাব্বির আহমদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে এ আসনে আওয়ামী লীগ ঘরনার স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. আহমদ আল কবির আলোচনায় রয়েছেন। তৃণমূল বিএনপির কায়সার আহমদ কাউসার ও ব্যারিস্টার কুতুব উদ্দিন শিকদারও মাঠে রয়েছেন।
সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) : এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ থাকলেও তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপার্সন শমসের মবিন চৌধুরীর বিজয় নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। এখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাবেক এমপি মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সরোয়ার হোসেন মাঠে জোরে-শোরে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাছাড়াও এখানে ইসলামী ঐক্যজোট ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী রয়েছেন।
মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা ও জুড়ী) : মৌলভীবাজার-১ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এবারও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। তার পালে এবারও নাকি হাওয়া লাগবে জানিয়েছেন তার সমর্থক ভোটাররা। একই আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী আহমেদ রিয়াজ, তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মো. উছমান গনী, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ নেতা মো. ময়নুল ইসলাম ও ফারুক আহমদও মাঠে রয়েছেন।
মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) : আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে সদ্য পদত্যাগকারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ একেএম সফি আহমদ সলমান-এর লড়াই হতে পারে । তৃণমূল বিএনপি মনোনীত সাবেক এমপি এম এম শাহীনও আলোচনায় রয়েছেন। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি মো. আব্দুল মতিন, জাতীয় পার্টি থেকে আব্দুল মালিক, ঐক্যজোট থেকে মাওলানা আসলাম হোসাইন রহমানী, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট থেকে আব্দুল মোত্তাকিম তামিম ও বিকল্পধারা থেকে মো. কামরুজ্জামান সিমুও মাঠে কাজ করছেন।
মৌলভীবাজার-৩ (সদর-রাজনগর) : এ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জিল্লুর রহমানসহ মোট ১১ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। এরমধ্যে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম এ রহিম সিআইপি, জাসদের আব্দুল মছব্বির, ওয়ার্কার্স পার্টির তাপস কুমার ঘোষ, জাতীয় পার্টির রুহুল আমিন ও মো. আলতাফুর রহমান, সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের ফাহাদ আলম, ইসলামী ফ্রন্টের আব্দুর রউফ, জাকের পার্টির মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম, এনপিপির আবু বক্কর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদেক আহমদ।
মৌলভীবাজার-৪ (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল) : এখানে মোট ৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে এই আসনে ছয়বারের সংসদ সদস্য সাবেক হুইপ উপাধ্যক্ষ ড. আব্দুস শহীদের অবস্থান ভাল বলে ভোটারদের অভিমত। এ আসনে জাতীয় পার্টির নেতা মো. মস্তান মিয়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্যফ্রন্টের আ. মুহিদ হাসানী এবং ইসলামিক ঐক্যজোট মো. আনোয়ার হোসাইন ও জাকের পার্টির মুহিবুর রহমান আজাদ মনোনয়নপত্র জমা দেন।
হবিগঞ্জ-১ (বাহুবল-নবীগঞ্জ) : এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরী দলের সিদ্ধান্তে জাতীয় পার্টি মনোনীত মোহাম্মদ আব্দুল মুনিম চৌধুরী বাবুর সমর্থনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলে তার জয় অনেকটা নিশ্চিত বলে ধারণা সাধারণ ভোটারদের। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংরক্ষিত আসনের এমপি এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়া ছাড়াও ইসলামী ঐক্যজোট বাংলাদেশের মোস্তাক আহমেদ ফারকানী, কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের মো. নুরুক হক, জাকের পার্টির মোছা. ইয়াসমিন আক্তার মুন্নী, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর মো. মনিরুল ইসলাম চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।
হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) : হবিগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত এডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এডভোকেট মো. আব্দুল মজিদ খানের মধ্যে ভোটযুদ্ধেও আভাস পাওয়া গেছে। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুশতাক আহমেদ, কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের এডভোকেট মনমোহন দেবনাথ, ইসলামী ঐক্যজোটের শেখ হিফজুর রহমান, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী খায়রুল আলম, বিএনএম’র প্রার্থী এসএএম সোহাগ, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো. আব্দুল হামিদ, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ছাদিকুর মিয়া তালুকদার, বাংলাদেশ কংগ্রেস এর প্রার্থী মো. জিয়াউর রশিদও রয়েছেন।
হবিগঞ্জ-৩ (সদর-লাখাই-শায়েস্তাগঞ্জ) : এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত এডভোকেট মো. আবু জাহির অনেকটা নির্ভার। এখানে জাতীয় পার্টি মনোনীত আব্দুল মুমিন চৌধুরী, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মো. আদম আলী, বিএনএম’র মো. বদরুল আলম সিদ্দিকী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. আব্দুল কাদির, স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফ উদ্দিন আহমেদ, জাকের পার্টির মো. আনছারুল হক, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ’র প্রার্থী মো. আব্দুল ওয়াহেদ, বাংলাদেশ কংগ্রেস এর প্রার্থী মো. নোমান হাসান, বাংলাদেশ জাতীয় কংগ্রেস’র প্রার্থী মোছা. সায়েমা বেগম, মুক্তিজোটের প্রার্থী শাহিনুর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।
হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) : হবিগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত বর্তমান সংসদ সদস্য, বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মো. মাহবুব আলীর সাথে তুমুল লড়াই হতে পারে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অত্যন্ত জনপ্রিয় ওই ব্যক্তি এবার চরম ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছেন হেভিওয়েট নৌকার প্রার্থীকে। এখানে বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত মো. আল আমিন, ইসলামী ঐক্যজোট বাংলাদেশ মো. আবু ছালেহ, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী আহাদ উদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-এর মো. মুখলেছুর রহমান, জাকের পার্টির সৈয়দ আবুল খায়ের, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জামাল হোসেন, ইসলামী ঐক্যফ্রন্ট বাংলাদেশ’র মো. আব্দুল মমিন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট প্রার্থী রাশেদুল ইসলাম খোকনও মাঠে কাজ করছেন।
সুনামগঞ্জ-১ (জামালগঞ্জ-তাহিরপুর, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর) : এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রঞ্জিত চন্দ্র সরকারের সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে গত তিনবারের আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য, স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের। এখানে অন্য প্রার্থীরা হচ্ছেন গণফ্রন্ট প্রার্থী মো. জাহানুর রশীদ, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি হারিছ মিয়া, বাংলাদেশ কংগ্রেস পাটির প্রার্থী নবাব সালেহ আহমদ, তৃণমূল বিএনপি প্রার্থী মো. আশরাফ আলী, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রার্থী মো. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিম আহমদ ও এম নবী হোসেন।
সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) : দিরাই-শাল্লা নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের সাথে ভোট যুদ্ধ হতে পারে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য জয়া সেন গুপ্তা’র। এ আসনে গণতন্ত্রী পার্টি মিহির রঞ্জন দাস, স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান, ড. মো. শামসুল হক চৌধুরীও রয়েছেন।
সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর- দক্ষিণ সুনামগঞ্জ) : এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী গত তিনবারের সংসদ সদস্য ও সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের বিজয় অনেকটা সুনিশ্চিত। এখানে তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী, সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট শাহীনুর পাশা চৌধুরীও জোরে-শোরে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এখানে জাকের পার্টির মো. নজরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির তৌফিক আলী ও তালুকদার মো. মকবুল হেসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মাহফুজুর রহমান খালেদ ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
সুনামগঞ্জ-৪ (সদর-বিশ্বম্ভরপুর) : এখানে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী পিএসসি’র সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক ও জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য এডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ্’র মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। এ আসনে জাসদ মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট আবু তাহের মো. রুহুল ইসলাম, পিপলস পার্টির মোহাম্মদ দেলোয়ার, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আবুল ফজল মো. মাসউদ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোবারক হোসেন মাঠে রয়েছেন।
সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারা) : এ আসনে এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান এমপি মুহিবুর রহমান মানিক। তবে, তার মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা, স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম আহমদ চৌধুরী। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে এ দু’জনের মাঝে। এছাড়া, এ আসনে প্রার্থী হয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী নাজমুল আহমদ হিমেল, বিএনএফের আশরাফ হোসেন, জাকের পার্টি শেখ ইয়াকুব আলী, গণফোরামের প্রার্থী আয়ূব করম আলী, সুপ্রিম পার্টির আবু সালেহ, পিপলস্ পার্টির আজিজুল হক, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট মনোনীত প্রার্থী মো. সাচ্চু বিশ্বাস, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আব্দুল জলিল ।