অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে ‘মিথ্যা’ মামলা দিয়ে হয়রানি

সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় অবসরপ্রাপ্ত এক স্কুল শিক্ষককে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে গত সোমবার সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) কমিশনারের নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। 

স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ আগস্ট দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার ইউনিয়নের হকিয়ারচর গ্রামে মাছুম আলী নামে একজনের পক্ষের এবং আবদাল আহমদ ও জয়নাল আহমদের পক্ষের লোকজনের মধ্যে বাড়ির বাউন্ডারি নিয়ে মারামারি হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ ও থানা পুলিশের একটি টিম গিয়ে দু’পক্ষকে শান্ত করে। পরে এ ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু মাছুম আলী তার মামলায় লালাবাজার ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘জাফরাবাদ উচ্চবিদ্যালয় এন্ড কলেজ’র ৪০ বছরের শিক্ষক ও সালিশ ব্যক্তিত্ব আব্দুল কুদ্দুসকে (৬৫) প্রধান আসামি করেছেন। মারামারির সময় আব্দুল কুদ্দুস ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। 

পুলিশ কমিশনার ও ওসি বরাবরে দেওয়া স্থানীয় গণ্যমান্য বেশ কয়েকজনের স্বাক্ষর-সম্বলিত অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, আব্দুল কুদ্দুসের বাড়ি হকিয়ারচরে হলেও শিক্ষকতা থেকে অবসর গ্রহণের পর ১১ বছর ধরে তিনি সিলেট মহানগরের টিলাগড় এলাকায় একটি বাসায় পরিবার নিয়ে ভাড়াটে হিসেবে বসবাস করছেন। ঘটনার দিন মারামারি থামাতে যাওয়া বর্তমান লালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তোয়াজিদুল হক তুহিন ও সাবেক চেয়ারম্যান পীর ফয়জুল হক ইকবালসহ স্থানীয় বর্তমান-সাবেক ইউপি মেম্বার এবং পুলিশ সদস্যরাও আব্দুল কুদ্দুসকে সেখানে উপস্থিত দেখেননি। তবুও গ্রাম্য বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে প্রতিহিংসাবশতঃ সাবেক এই শিক্ষককে ‘মিথ্যা’ মামলা দিয়ে হয়রানি করছে মাছুম আলীর পক্ষ।
এদিকে, গত ১ সেপ্টেম্বর হকিয়ারচর গ্রামে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ‘জাফরাবাদ উচ্চবিদ্যালয় এন্ড কলেজ’র সাবেক শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুসকে ‘মিথ্যা মামলার আসামি’ করায় এ বৈঠকে গ্রামবাসী নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। পাশাপাশি এ মামলা থেকে সাবেক এই শিক্ষকের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানান গ্রামবাসী। এছাড়া ২৩ আগস্টে মারামারির বিষয়ে উভয় পক্ষকে আপস-মীমাংসার মাধ্যমে সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন গ্রামের মুরুব্বিরা। দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবরে এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।-বিজ্ঞপ্তি