আদালতের আদেশে মায়ের কোলে ফিরল শিশু
জগন্নাথপুর সংবাদদাতা:
পারিবারিক কলহের জের ধরে নয় মাসের সন্তান কে আটকে রেখে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী কে বাবার বাড়ি জোর করে পাঠিয়ে দেয় স্বামী। দুধের শিশু কে না পেয়ে পাগলের মতো হয়ে যান মা। অতঃপর আদালতের আদেশে সন্তানকে বাবার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিল জগন্নাথপুর থানা পুলিশ। সেই সাথে শিশুটির কান্না থামল আর মায়ের মুখে ফিরল হাসি। জগন্নাথপুর থানা পুলিশ জানায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ছোট বাকইড় গ্রামের আবু মিয়া ছেলে সাইদুর রহমান এর সঙ্গে জগন্নাথপুর উপজেলার কাতিয়া অলইতলী গ্রামের ছোবা মিয়ার মেয়ে শেফালি বেগম এর পারিবারিক সন্মতিতে দুই বছর আগে বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের নয় মাসের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। বর্তমানে শেফালি বেগম তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় রয়েছে।
পারিবারিক কলহের জের ধরে গত ১৭ মে নয় মাসের শিশু সামিউল রহমান কে রেখে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী কে মারধর করে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেন স্বামী ।
শেফালি বেগম সোমবার প্রথম আলো কে অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকে নানা অজুহাতে আমাকে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন মারধর করে। আমার দুধের শিশু কে আটকে রাখায় শিশুটি মাতৃদুগ্ধের জন্য কাঁদছিল।অনেক লোকজন কে দিয়ে কাকুতি মিনতি করেও সন্তান কে না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে সুনামগঞ্জ পারিবারিক আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালতের আদেশে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ রোববার রাতে বুকের ধন কে উদ্ধার করে আমার কাছে ফিরিয়ে দেয়।জগন্নাথপুর থানার উপ-পরিদর্শক শামীম আল মামুন বলেন,শিশুটি মায়ের দুধের জন্য কাঁদছিল আর মা শিশুটির জন্য পাগলের মতো ছুটছিল। আদালতের আদেশে শিশুটিকে তার বাবার বাড়ি নবীগঞ্জ উপজেলার ছোট বাকইড় গ্রাম থেকে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছি। তিনি বলেন, শিশুটিকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়ায় মায়েরমুখে হাসি ফিরেছে দেখে ভালো লাগছে।