ইউক্রেনে সাড়ে তিন হাজার রুশ সেনা নিহত

ইউক্রেনে সাড়ে তিন হাজার রুশ সেনা নিহত

ডেস্ক রিপোর্ট:
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ দেশটির বিভিন্ন শহরে বৃষ্টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে রাশিয়া।সক্ষমতা অনুযায়ী পাল্টা জবাব দিচ্ছে ইউক্রেনও। দেশটি দাবি করছে, তাদের আক্রমণে ইতোমধ্যেই সাড়ে তিন হাজার রুশ সৈন্য নিহত হয়েছে।

শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি রুশ সেনা নিহত হয়েছে। এছাড়া আরও প্রায় ২০০ রুশ সেনাকে বন্দি করা হয়েছে।

ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী আরও দাবি করেছে, হামলা করতে এসে রাশিয়া এখন পর্যন্ত ১৪টি যুদ্ধবিমান, ৮টি হেলিকপ্টার এবং ১০২টি ট্যাংক হারিয়েছে। বিবিসি অবশ্য দেশটির এই দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।
 
অন্যদিকে রাশিয়াও এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনো কথা স্বীকার করেনি।
 
এদিকে রাশিয়ার হামলার মুখে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট তার সেনাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন বলে গুঞ্জন উঠেছে সেটি অস্বীকার করেছে ভিডিওবার্তা দিয়েছেন ভলোদিমির জেলেনস্কি।

জেলেনস্কি বলেন, অনলাইনে এমন বহু ভুয়া তথ্য ঘুরছে যে, আমি নাকি আমার সামরিক বাহিনীকে অস্ত্র ফেলে রুশ সেনাদের কাছে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছি। অথচ আমি এখানেই আছি। আমরা আমাদের অস্ত্র ফেলে দেবো না। আমরা আমাদের দেশকে রক্ষা করবো।

ভিডিওতে দেখা যায় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সবুজ রঙের সামরিক ধাঁচের পোশাক পড়া। তার পাশেই দাঁড়িয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী, তার চিফ অফ স্টাফ এবং ঘনিষ্ঠ সহকারীরা। রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে দেশের মানুষকে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, শুক্রবার কিয়েভের রাস্তায় মুখোমুখি লড়াই হয় রাশিয়া ও ইউক্রেনের সেনার মধ্যে। ইতিমধ্যেই রুশ হামলায় নিহত হয়েছেন ইউক্রেনের বহু সেনা। ইউক্রেনের পক্ষে জানানো হয়েছে, সে দেশের স্কুলগুলো ধ্বংস করেছে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান।

এদিকে জেলেনস্কি পশ্চিমা দেশগুলোর থেকে সমর্থন পেয়েছেন। পুতিনকে কোণঠাসা করতে এবার একজোট হয়েছে গোটা ইউরোপ। পুতিনের সঙ্গে সম্পর্কিত ইউরোপের যাবতীয় সম্পত্তি আপাতত ‘ক্রোক’ করার বার্তা দিয়েছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন।

এই আবহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের সেনার উদ্দেশে বার্তা পাঠিয়েছেন। তিনি ইউক্রেনের সরকারের বিরুদ্ধে সেদেশের সেনাকে গণঅভ্যুত্থানের আবেদন জানান।

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, ইউক্রেনের সেনা যদি ক্ষমতা হাতে নেয়, তাহলে বোঝাপড়া হতে পারে। পাশাপাশি ইউক্রেনের সেনার ভূয়সী প্রশংসা করেন হামলাকারী রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, “ইউক্রেনের সেনা জওয়ানরা খুবই সাহসের সঙ্গে পরিস্থিতির মোকাবিলা করছেন।”