ইউক্রেনের পর এবার তাইওয়ান সংকটের সমাধান দিলেন ইলন মাস্ক 

ইউক্রেনের পর এবার তাইওয়ান সংকটের সমাধান দিলেন ইলন মাস্ক 

রয়েল ভিউ ডেস্ক:
তাইওয়ান সংকটের সমাধান দিয়েছেন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা এবং রকেট প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের প্রধান ইলন মাস্ক। তিনি বলেছেন, তাইওয়ানকে নিয়ন্ত্রণের কিছু ক্ষমতা বেইজিংয়ের কাছে হস্তান্তর করার মাধ্যমে এই সংকটের সমাধান করা যেতে পারে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের সেরা ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে এক সাক্ষাৎকারে এই কথা বলেছেন। গত শুক্রবার ফিন্যান্সিয়াল টাইমস প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইলন মাস্ক বলেন, ‘আমার পরামর্শ হলো.... তাইওয়ানকে একটি বিশেষ প্রশাসনিক জোন হিসেবে বিবেচনা করা সবচেয়ে ভালো সমাধান হতে পারে। হয়তো এই সমাধান সবাইকে খুশি করতে পারবে না, তবে আমি মনে করি এটি সম্ভব। প্রকৃতপক্ষে তাঁরা হংকং পরিচালনায় যে ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে তার চেয়েও তুলনামূলক সহনশীল কোনো পদ্ধতি বেছে নিতে পারে।’ 

ফিন্যান্সিয়াল টাইমস ইলন মাস্ককে চীনের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তখন প্রসঙ্গক্রমে তিনি এই মন্তব্য করেন। উল্লেখ্য, টেসলার সবচেয়ে বড় কারখানাটিই চীনের সাংহাইয়ে অবস্থিত। গত বছর বিশ্বে টেসলার যত গাড়ি সরবরাহ করা হয়েছে তার অর্ধেকই সরবরাহ করেছে সাংহাইয়ের কারখানা।

এর আগে, টুইটারে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ-সম্পর্কিত অযাচিত পরামর্শ দেওয়ার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিসহ ইউক্রেনের অন্যান্য নাগরিকের নিন্দার শিকার হন টেসলা ও স্পেসএক্সের মালিক ইলন মাস্ক।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে রাশিয়ার অধিভুক্ত অঞ্চলগুলোতে পুনরায় গণভোট হতে হবে, ২০১৪ সালে মস্কোর দখল করা ক্রিমিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে, ক্রিমিয়ার পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে এবং সেই সঙ্গে এই ব্যাপারে ইউক্রেনকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে—জানিয়ে একটি টুইট করেছেন ইলন মাস্ক। টুইটারে মাস্ক তাঁর ১০ কোটি ৭৭ লাখ ফলোয়ারের উদ্দেশে ইউক্রেনে রাশিয়ার অধিকৃত অঞ্চল নিয়ে ভোটাভুটির আহ্বান জানিয়েছিলেন।

এর জবাবে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি পাল্টা পোস্ট দিয়ে আরেক ভোটের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিটি ইউক্রেনকে সমর্থন জানালে তাঁকে মানুষ আরও ভালোবাসবে কি না, এর ওপর ভোট হওয়া উচিত।