কিছু হলেই প্যারাসিটামল খাচ্ছেন, জানুন এর ফল কী হতে পারে?

কিছু হলেই প্যারাসিটামল খাচ্ছেন, জানুন এর ফল কী হতে পারে?

রয়েল ভিউ ডেস্ক :
প্যারাসিটামল অতি পরিচিত একটি ওষুধ। বিশেষ করে করোনাকালে এর গুরুত্ব এবং চাহিদা মারাত্মকভাবে বেড়েছে। তার পাশাপাশি অল্প জ্বর হলেই যেকেউ প্যারাসিটামল খেয়ে ফেলেন। শুধু কি তাই? মাথাব্যথা, দাঁতে ব্যথা, কোমরব্যথাতেও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই খেয়ে নেন প্যারাসিটামল। কিন্তু এটি কি ঠিক? প্যারাসিটামল কি সম্পূর্ণ নিরাপদ?
 
চিকিৎসকরা বলছেন, বিষয়টি একেবারেই তা নয়। অন্য আর পাঁচটা ওষুধের মতো প্যারাসিটামল এরও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়। এটি আসলে ব্যথা কমানোর ওষুধ। জ্বর হলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। সেই তাপমাত্রা কমাতে এটি কাজে লাগে। কিন্তু শরীরের ভিতরে প্যারাসিটামল কীভাবে কাজ করে, সে সম্পর্কে সাধারণ মানুষের বিশেষ ধারণা নেই বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তার ফলে তারা নির্দ্বিধায় এই ওষুধটি খান। আর ওষুধের দোকানেও বিনা প্রেসক্রিপশনে এই ওষুধটি বিক্রি হয়। ফলে এটি কিনতেও বিশেষ সমস্যা হয় না।

অতিরিক্ত মাত্রায় প্যারাসিটামল নানা ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে। দেখে নেওয়া যাক, সেগুলো কী কী।

# কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে
# পেটের ভিতরে রক্তক্ষরণ হতে পারে প্যারাসিটামল বেশি মাত্রায় খেলে
# হজমের সমস্যা হয়, বিপাক হার কমে যেতে পারে
# লিভারের ক্ষতি হতে পারে
# কিডনির ক্ষতি হয়

চিকিৎসকরা বলছেন, অতিরিক্ত মাত্রায় প্যারাসিটামল খেলে কিডনির যে ক্ষতি হয়, তা অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে কিডনির ক্ষতির সমান। বর্তমানে এমন বহু রোগীকে পাওয়া যাচ্ছে, যাদের কিডনি বিকল হয়ে গিয়েছে, যাদের নিয়মিত ডায়ালিসিস করাতে হচ্ছে। তাদের কিডনির বিকল হয়ে যাওয়ার প্রধান কারণ প্যারাসিটামল।

কতগুলো প্যারাসিটামল খাওয়া নিরাপদ?

এ বিষয়ে স্পষ্ট গাইডলাইন দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, এক জন প্রাপ্তবয়স্ক ৬৫০ মিলিগ্রামের প্যারাসিটামল খেতে পারেন। দিনের মাথাই ৬৫০ মিলিগ্রাম প্যারাসিটামল চারটি পর্যন্ত খাওয়া যায়। তবে তার চেয়ে কম খেলেই ভালো। আর শিশুদের ক্ষেত্রে ৫০০ মিলিগ্রামের প্যারাসিটামল খাওয়ানোই নিয়ম। সেক্ষেত্রেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।