কোন পথে এগোবে যুক্তরাষ্ট্র?

কোন পথে এগোবে যুক্তরাষ্ট্র?

রয়েল ভিউ ডেস্ক:
নানা নাটকীয়তার পর ৩৬৯ বিলিয়ন ডলারের স্বাস্থ্যসেবা, ট্যাক্স, জলবায়ু তহবিলের বিল পাস হয়েছে মার্কিন সিনেটে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিল।

ইনফ্লেশন রিডাকশন অ্যাক্ট নামে বিলটির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে কার্বন নিঃসরণ ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ কমিয়ে আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। 

প্রস্তাবিত বিলটি এজেন্ডার একটি মূল ভিত্তি। রোববার পাস হওয়া এই বিল প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও তার দলের জন্য বড় বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।

কিন্তু প্রশ্ন হলো যুক্তরাষ্ট্রে কার্বন নিঃসরণ ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ কমিয়ে আনার পথটা কতটা সুগম? উন্নত এই দেশটি বিশ্বের মধ্যে কার্বন নিঃসরণে চীনের পরই অবস্থান করেছে। আট বছরের মধ্যে শিল্পোন্নত দেশটিতে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনা মুখের কথা নয়। এজন্য অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রকে হাঁটতে হবে অন্য পথে।

আগেও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র প্যারিস জলবায়ু চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারবে না। অবশ্য গবেষণা সংস্থা রোডিয়াম গ্রুপের সাম্প্রতিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে কোনো বাড়তি সরকারি পদক্ষেপ ছাড়াই কার্বন নিঃসরণ ২০০৫ সালের ২৫ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর পথে রয়েছে।

আর এই কার্বণ নিঃসরণ কমানোর ক্ষেত্রে নবায়নযোগ্য শক্তি এবং বৈদ্যুতিক যানবাহন যৌথভাবে ভূমিকা রাখতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু ধারণা অবশ্য পরিবর্তনশীল। কারণ বিষয়টি নির্ভর করছে পণ্যের দাম এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর।

এদিকে, প্রস্তাবিত বিলের আওতায় বেশ কিছু পরিবারকে বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনার জন্য সাড়ে সাত হাজার এবং ব্যবহৃত গাড়ির জন্য চার হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত ট্যাক্স ক্রেডিট দেওয়া হবে।  তাই বাইডেন প্রশাসনও নবায়নযোগ্য শক্তি এবং বৈদ্যুতিক যানবাহনের ওপরই জোর দিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।