কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেইজমেন্টে  সংগ্রহশালা উদ্বোধনের সংবাদে  শহীদ মিনার বাস্তবায়ন পরিষদ ও  সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দের উদ্বেগ 

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেইজমেন্টে  সংগ্রহশালা উদ্বোধনের সংবাদে  শহীদ মিনার বাস্তবায়ন পরিষদ ও  সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দের উদ্বেগ 

সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেইজমেন্টে সংগ্রহশালা উদ্বোধনের সংবাদে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শহীদ মিনার বাস্তবায়ন পরিষদ এবং সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ।

এক যুক্ত বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বাস্তবায়ন পরিষদের অন্যতম উদ্যোক্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা সদর উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের সভাপতি শামসুল আলম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তী, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি রজত কান্তি গুপ্ত, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদসহ সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আত্মত্যাগ স্মরণ এবং শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নির্মিত। ’৫২ এবং ’৭১ এর চেতনার ধারক সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সিলেটের গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল এবং অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক কর্মসূচির চর্চা ও বিকাশের অনন্য প্রতিষ্ঠান। যার সাথে সিলেটের মানুষের গভীর আবেগ ও শ্রদ্ধার সম্পর্ক। সিলেটের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন, মৌলবাদ বিরোধী আন্দোলন, সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সূতিকাগার সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। পুনঃনির্মিত দৃষ্টিনন্দন সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদমিনার যা সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ঐকান্তিক চেষ্টায় এবং সহযোগিতায় নির্মিত হয়। শহীদ মিনারের বেইজমেন্টে সংগ্রহশালা এবং পাঠাগার করার কথা দীর্ঘদিনের। বেইজমেন্টে সংগ্রহশালা, পাঠাগার পরিপূর্ণভাবে নির্মাণ না করে তরিঘড়ি করে পৌর পাঠাগার হতে অল্পসংখ্যক বই এনে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে এর উদ্বোধনের সংবাদটি উদ্বেগজনক ও নিন্দনীয়।’ 

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ‘পুন:নির্মিত সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের ফসল। যা মৌলবাদী চক্রের হাতে ধ্বংস প্রাপ্ত হয়েছিল। পরবর্তীতে সাবেক অর্থমন্ত্রী, ভাষাসৈনিক আবুল মাল আবদুল মুহিতের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পুন:নির্মিত হয়, যা দেশের মধ্যে অন্যতম দৃষ্টিনন্দন শহীদমিনার। পরিকল্পনা মতে শহীদ মিনারের বেজমেন্টে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক পাঠাগার এবং সংগ্রহশালা করার কথা। কিন্তু দীর্ঘদিন তা অবহেলিত ছিল। সিলেট সিটি কর্পোরেশন তা বাস্তবায়ন করতে পারে নি। কিন্তু সংগ্রহশালা এবং পাঠাগার পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন না করে শুধুমাত্র কিছু আসবাবপত্র এবং বইপুস্তক এনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তড়িঘড়ি করে এর উদ্বোধন করা হচ্ছে। এমন উদ্বোধন আয়োজন পরবর্তীতে নানা প্রশ্নের জন্ম দেবে এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী ভাষাসৈনিক আবুল মাল আবদুল মুহিতের এই অনন্য উদ্যোগ প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলে মনে করেন সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ।’-বিজ্ঞপ্তি