কোভিড রোগীর চাপে শামসুদ্দিনের বহির্বিভাগে ফের সেবা বন্ধ

কোভিড রোগীর চাপে শামসুদ্দিনের বহির্বিভাগে ফের সেবা বন্ধ

রয়েল ভিউ ডেস্ক:
কোভিড রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় এক মাসের মাথায় সিলেটের শহীদ ডা: শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের বহির্বিভাগ (আউটডোর)-এ সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে । বর্তমানে এ হাসপাতালে ৫৫ জন কোভিড রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর আইসিইউতে ভর্তি আছেন ১১ জন।
সিলেটে করোনার জন্য ডেডিকেটেড হাসপাতাল হচ্ছে শহীদ ডা: শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল। ২০২০ সালের মার্চে বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ বাড়ার পর থেকে ১০০ শয্যার এ হাসপাতালটি কোভিড রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে। এ পর্যন্ত এ হাসপাতালে প্রায় ১০ হাজার কোভিড রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। ২০২১ সালের অক্টোবরের পর থেকে করোনার সংক্রমণ কমে আসায় হাসপাতালটি ফের আউটডোর খোলার সিদ্ধান্ত হয়। এ বছরের জানুয়ারি থেকে চালু হয় আউটডোর সার্ভিস। কিন্তু, চালুর এক মাসের মাথায় গতকাল মঙ্গলবার থেকে এ হাসপাতালের আউটডোর সেবা বন্ধ হয়ে গেছে।
এ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা: মিজানুর রহমান বন্ধ হবার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আউটডোরে প্রতিদিন গড়ে ১০০/১৫০ রোগী চিকিৎসা নিতেন। কিন্তু, করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালটিকে ফের করোনার জন্য ডেডিকেটেড হাসপাতাল করা হয়েছে। এ কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে আউটডোর সেবা। তিনি জানান, হাসপাতালটিতে প্রতিদিনই কোভিড রোগী ভর্তি হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় পর্যন্ত ৪ জন কোভিড রোগী ভর্তি হয়েছেন। সবমিলিয়ে ৫৫ জন কোভিড রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে আইসিইউতে আছেন ১১ জন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এ হাসপাতালে ২ জন কোভিড রোগী মারা গেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের হাসপাতালে অনেক গুরুতর রোগী ভর্তি আছেন। বিশেষ করে দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেশী। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। কোভিডের সংক্রমণ রোধে সকলকে সতর্ক হবার পরামর্শ দেন তিনি।
এ হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ ডা: হোসেন আহমদ রুবেল গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় জানান, এ হাসপাতালে ১৬টি আইসিইউ বেড রয়েছে। এর মধ্যে রাত পর্যন্ত ১২টি বেড পূর্ণ ছিল। তিনি বলেন, এবার আইসিইউতে কেবল বয়স্ক রোগীরাই ভর্তি হচ্ছেন-যাদের কোভিডের সাথে অন্যান্য রোগে ভুগছেন। আইসিইউতে কম বয়সীদের ভর্তির হার কম বলে জানান এ চিকিৎসক।
সিলেট স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগে কোভিডে ২ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, কোভিড শনাক্ত হয়েছে ৬৬৩ জনের।