করোনার ভুয়া রিপোর্ট: সাবরিনা, আরিফসহ ৮ জনের ১১ বছরের কারাদণ্ড

করোনার ভুয়া রিপোর্ট: সাবরিনা, আরিফসহ ৮ জনের ১১ বছরের কারাদণ্ড

রয়েল ভিউ ডেস্ক:
করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারপারসন ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে সবাইকে ১১ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুরে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। গত ২৯ জুন ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন। রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, আসামিদের অপরাধ প্রমাণিত, সবার উদ্দেশ ছিলো একই, তাই সাজাও হয়েছে একই।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কাশিমপুর কারাগার থেকে আসামিদের সিএমএম আদালতে আনা হয়। দুপুর ১২টার দিকে ওঠানো হয় এজলাসে। আলোচিত এ মামলায় ৪০ সাক্ষীর মধ্যে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন ২৪ জন। করোনার নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা ছাড়াই ১৫ হাজার ৪৬০টি ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছিল জেকেজি হেলথ কেয়ার।
 
এর আগে গত ১১ মে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, করোনা মহামারির সময় নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথকেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে ভুয়া রিপোর্ট দেয়। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তারসহ প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেয়া হয়।

এরপর ২০২০ সালের ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাবরিনা ও আরিফসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও এবং জেবুন্নেসা।