ঘুমিয়ে পুরস্কার জিতলেন ত্রিপর্ণা

ঘুমিয়ে পুরস্কার জিতলেন ত্রিপর্ণা

রয়েল ভিউ ডেস্ক:
ঘুম কে না ভালোবাসে? আমরা হয়তো কারণে-অকারণে, সময়ে-অসময়ে সুযোগ পেলেই ঘুমিয়ে পড়ি। কিন্তু ঘুমিয়েও যে টাকা উপার্জন করা যায় তা কি কখনও ভেবে দেখেছেন? ভাবছেন কী করে সম্ভব? এমন কল্পনাতীত কাজ করেছেন ভারতের শ্রীরামপুরের এক তরুণী।

ওই তরুণীর নাম ত্রিপর্ণা চক্রবর্তী। ছোটবেলা থেকেই ঘুমকাতুরে ত্রিপর্ণা। এ জন্য মায়ের বকা খেয়েছেন অনেক। এমনকি ঘুমানোর ফলে পরীক্ষা, ফ্লাইট মিস, ট্রেনে নির্দিষ্ট স্টেশন পেরিয়ে যাওয়া- সবই ঘটেছে তার জীবনে। এত কিছুর পর সেই ঘুমের মাধ্যমেই তিনি জিতেছেন পাঁচ লাখ রুপি।

ঘুমের উদাহরণ দিতে ত্রিপর্ণা জানান, ‘দুইমাস আগে আমি দিল্লি যাচ্ছিলাম ট্রেনে। ট্রেনে উঠে ঘুমিয়ে পড়ি।  উঠে দেখি নিউ দিল্লি পৌঁছে গেছি। দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টার এই যাত্রায় আমি একটিবারও টের পাইনি। না খেয়ে, ওয়াশরুমে না গিয়েই আমি এই যাত্রা সম্পন্ন করেছি।’

ত্রিপর্ণা আরও বলেন, ‘আমি ক্লাসেও ঘুমিয়ে পড়ি। ঘুমানোর কারণে প্রফেসর ক্লাস থেকে বের করে দিয়েছেন। আমি ক্লাস থেকে বের হয়ে বাইরে বসে বসে ঘুমিয়েছি।’

ত্রিপর্ণা জানান, অনলাইনে তিনি জানতে পারেন নামকরা ম্যাট্রেস সংস্থা সেরা ঘুমকাতুরে মানুষ খুঁজছেন। তারা পুরস্কার দিতে চান। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন ত্রিপর্ণা এবং জিতে নেন সেরার পুরস্কার। 

প্রতিযোগিতায় সাড়ে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ অংশ নেয় এবং বিভিন্ন রাউন্ড থেকে ১৫ জনের ছোট তালিকা তৈরি করা হয়। ৯ ঘণ্টা করে টানা ১০০দিন ঘুমানোর পর সংস্থা থেকে প্রতিযোগীদের বাড়িতে লোক পাঠায়। ত্রিপর্ণা বলেন, ‘তারা আমাদের বাড়িতে দুই রাত ছিলেন, সিসি ক্যামেরাও লাগিয়েছিলেন, মূলকথা ঘুমের চুলচেঁড়া বিশ্লেষণ করা হয়। ফাইনালের এই পরীক্ষায় আমি ১০০ এর মধ্যে ৯৫ মার্কস পাই এবং তারা আমাকে বিজয়ী ঘোষণা করে।’

প্রতিযোগিতার ফাইনালে ১৫ জন প্রতিযোগীর মধ্যে ত্রিপর্ণা পেয়েছেন ৫ লাখ রুপি এবং অন্যরা প্রত্যেকে পেয়েছেন ১ লাখ রুপি। পুরস্কারের এই টাকা ত্রিপর্ণা সমাজের কাজে ব্যবহার করতে চান। ত্রিপর্ণা বলেন, ‘সামনে শীত আসছে, আমি বস্ত্রহীন মানুষদের শীতবস্ত্র বিতরণ করতে চাই।’ ব্যতিক্রমী এই প্রতিযোগিতার কথা শুনে আপনার মনে হতেই পারে ‘ঘুম থেকে যদি ভালো কিছু হয় তাহলে ঘুমই ভালো’।