শেখ হাসিনা’র স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে  মহানগর আ’লীগের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত  

জননেত্রী শেখ হাসিনা’র আদর্শিক রাজনীতির কারণেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে: বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমেদ 

জননেত্রী শেখ হাসিনা’র আদর্শিক রাজনীতির কারণেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে: বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমেদ 

রয়েল ভিউ ডেস্ক:

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা'র স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এই দিনেই জননেত্রী স্বদেশে ফিরে এসেছিলেন এবং দেশের হাল  ধরেছিলেন। দেশে আসার পূর্বে তিনি ভেবেছিলেন যে, দেশে গেলে হয়তো তাকে মেরে ফেলা হবে। তারপরেও তিনি জীবনের মায়া ছেড়ে প্রিয় মাতৃভূমি এবং দুঃখী ও মেহনতী মানুষের জন্য ফিরে এসেছিলেন। সেই ইতিহাস আমাদের নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে। ছাত্রলীগ, যুবলীগ সহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে তা জানতে হবে। রাজনীতি করতে গেলে ইতিহাস জানতে হবে এবং কর্মীদের মধ্যে তা ছড়িয়ে দিতে হবে। তাহলেই রাজনীতি সঠিক পথে এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা'র আদর্শিক রাজনীতির কারণেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা'র জন্যই সারা বিশ্বে বাংলাদেশ সমাদৃত হচ্ছে। কিন্তু জননেত্রীর অগ্রযাত্রাকে রুখে দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্রকারীরা সক্রিয়। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। ইতোমধ্যে জাকির, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নিয়ে কথা বলেছে। বর্তমান মেয়র লন্ডনে সাজাপ্রাপ্ত আসামি সহ খুনীদের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নতুন করে কী ষড়যন্ত্র তৈরি করছে? যে কোনো ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করতে নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে। 

মঙ্গলবার (১৭মে) সন্ধ্যা ৭ টায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে মহানগর আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত জননেত্রী শেখ হাসিনা'র স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, নেতৃত্ব বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আমাদেরকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এক ঘরে তিন জন তিন দল করে সেই সব নেতা-কর্মীদের চিহ্নিত করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যাচাই-বাছাই করে নেতৃত্ব নিবার্চন করে দলকে সুসংগঠিত করতে হবে। ভালো মানুষ সেজে কোনো ষড়যন্ত্রকারী যেন দলে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং জননেত্রী শেখ হাসিনা'র ডিজিটাল বাংলাদেশ ও টেকসই উন্নয়নের বাংলাদেশ গড়তে হবেই৷  

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেনের পরিচালনায় স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, মোঃ সানাওর, জগদীশ চন্দ্র দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিধান কুমার সাহা। 

আলোচনা সভা পরিচালনার পাশাপাশি তথ্যবহুল বক্তব্য উপস্থাপন করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের পরে ৩০ মে  সিলেটে এসেছিলেন। আমি তৎকালীন জেলা  ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলাম। জননেত্রীর আগমন উপলক্ষে আমরা সারা রাত (২৯ মে) কাজ করেছিলাম এবং আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্টেজ পাহারা দিয়েছিলাম। পরের দিন নেত্রী যখন আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আসেন তখন মুষলধারে বৃষ্টি আসে। কিন্তু এই বৃষ্টিস্নাত দিনে সিলেটবাসী প্রিয় নেত্রীকে স্বাগত জানিয়েছিল। তিনি মঞ্চ আসলেন এবং মঞ্চে দাঁড়িয়ে অঝোরে কাঁদলেন। সেই দিন থেকেই তিনি শুধু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নয় বাংলাদেশেরই হাল ধরেছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের জন্য জীবনের অধিকাংশই সময়ই কারাগারে কাটিয়েছিলেন। আর জননেত্রী শেখ হাসিনা উনার জীবনকে এ দেশের দুঃখী ও মেহনতী মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন। বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রীর আদর্শকে ধারণ করেই আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। জননেত্রী যে দুর্নীতিমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত ও যুদ্ধাপরাধীমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছেন তা আমাদেরকেই ঐক্যবদ্ধ ও অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে পূরণ করতে হবে। 

তিনি সিটি কর্পোরেশনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, সাবেক মেয়র মরহুম বদরউদ্দিন আহমদ কামরান যখন মেয়র ছিলেন তখন তাকে ঐ বিএনপি-জামাত গোষ্ঠী কাজ করতে দেয় নি। কিন্তু বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার অন্য দলের মেয়রকে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে আব্দুল মোমেন এমপি সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান মেয়রকে ১২শ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন এবং এখনো দিয়ে যাচ্ছেন। আর এটাই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে পার্থক্য। 

তিনি বলেন, এই মুহুর্তে নগরবাসী বন্যা মোকাবিলা সমস্যায় পড়েছে। কিন্তু সিটির প্রধান কর্তা দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। কথায় আছে, রোম যখন পুড়ছিল সম্রাট নিরো তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলেন ।  আর বর্তমান মেয়র এই কঠিন অবস্থায় লন্ডনে গিয়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক জিয়ার সাথে বৈঠক করছে এবং ষড়যন্ত্র কষছে। আমাদেরকে সর্তক থাকতে হবে। যে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীদের অতীতেও প্রতিহত করেছি, ভবিষ্যতেও করবো। ষড়যন্ত্রকারী ও দুষ্কৃতকারীদের  কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না। ইনশাআল্লাহ, সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেই আওয়ামী লীগ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা'র উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবে। 

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজমুল ইসলাম এহিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আজাহার উদ্দিন জাহাঙ্গীর, যুব ও ক্রিয়া বিষয়ক সম্পাদক সেলিম আহমদ সেলিম,  সাংস্কৃতিক সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ আরমান আহমদ শিপলু, উপ-দপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি ,  সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ।  

মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্যবৃন্দ প্রিন্স সদরুজ্জামান চৌধুরী, মোঃ আব্দুল আজিম জুনেল,  মুক্তার খান, এডভোকেট মোহাম্মদ জাহিদ সারোয়ার সবুজ, সুদীপ দেব, সৈয়দ কামাল, রোকসানা পারভীন, ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, জাফর আহমদ চৌধুরী, জামাল আহমদ চৌধুরী, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, ইঞ্জিঃ আতিকুর রহমান সুহেদ, ইলিয়াছ আহমেদ জুয়েল,  সম্মানিত জাতীয় পরিষদ সদস্য এডভোকেট রাজ উদ্দিন, উপদেষ্টামন্ডলীর  সদস্য এডভোকেট আব্দুল মালিক, আব্দুল মালিক সুজন, হাজী এম.এ মতিন, কানাই দত্ত। 

মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম রুমেন, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, মহানগর তাঁতী লীগের সভাপতি নোমান আহমদ, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশওয়ার জাহান সৌরভ, সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমেদ। 

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ দেলোওয়ার হোসেন রাজা, মুফতি আব্দুল খাবির, তাজ উদ্দিন লিটন, জাহিদুল হোসেন মাসুদ, জায়েদ আহমেদ খাঁন সায়েক, নজরুল ইসলাম নজু,  শেখ সুরুজ আলম, মোঃ বদরুল ইসলাম বদরুল, মানিক মিয়া, সেলিম আহমদ সেলিম, মোঃ ছয়েফ খাঁন, এডভোকেট আরিফ আহমদ, সোয়েব বাসিত প্রমুখ।